১৯ পরিবারের প্রতিবাদ ও ক্ষোভ ইউপি সদস্যের উপর মিথ্যা অভিযোগের বিষয়

ছবি মুক্তিবাণী
ছবি মুক্তিবাণী
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।।

রাজনগর উপজেলার ৮নং মনসুরনগর ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আব্দুস সামাদ নামক এক ব্যক্তি টাকা নেওয়ার বিষয়ের সাথে ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান মিটুর নাম সম্পৃক্ত করার ঘটনায় বানারাই ভূমিহীন আশ্রায়ন প্রকল্পের ১৯ পরিবার ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। 

রবিবার(১৩ আগষ্ট) বানারাই আশ্রায়ন প্রকল্পের সামনে ঘর পাওয়া ১৯ পরিবারের লোকজন প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। আশ্রয়ন প্রকল্পের আলী মিয়া, খছরু মিয়া,মুকিদ মিয়া,জহির মিয়া,রুজিনা বেগম, হামিদ মিয়া,পারুল বেগম, সুমন মিয়া,রেনা বেগম, সুমন মিয়া (২), জলিল মিয়া, কনা মিয়া,আব্দুল আহাদ, মারুফ মিয়া,সাজনা বেগম, জসির মিয়া,শরীয়ত আলী,রাসেল মিয়া, রুসনা বেগম সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আশ্রায় প্রকল্পের সামনে দাড়িয়ে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্ধারা জানায়, দুইবারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান মিটুর তাদেরে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভূমিহীন ঘর পাওয়ার জন্য ইউপি সদস্য হিসাবে তার যতটুকু করনীয় তার চেয়েও বেশী সাহায্য সহযোগীতা করেছেন। তারা সকলের ভূমি ও গৃহ কিছুই ছিল না। তারা অন্যের বাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে থাকতেন।

কেহ আবার কলোনিতে ভাড়া থাকতেন। এভাবে খুব মানবেতর জীবনযাপন চলছিল তাদের। মাহবুবুর রহমান মিটুর সহযোগীতায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেয়ে আজ তাদের কষ্ট দুর হয়েছে। তাদের নিকট থেকে ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান এক কাপ চা খেতে চাননি।  মৃত ধনাই মিয়ার পুত্র আলাল মিয় নামের এক ব্যাক্তি রাজনগর থানায় অভিযোগে উল্লেখ করেছে আব্দুস সামাদ মেম্বারকে বলে আশ্রায়ন প্রকল্পে ঘর পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে এই মর্মে তার নিকট থেকে  ৪০ হাজার টাকা নেয়। পরবর্তীতে আলাল মিয়া বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করে ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান মিটু তার নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন।

আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা মাহবুবুর রহমান মিটুর উপর আলাল মিয়া কারো প্ররোচনায় মিথ্যা বদনাম করার জন্য তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। আলাল মিয়া অনৈতিক ভাবে আব্দুস সামাদকে টাকা দিয়ে সমাজ নষ্ট করেছে এর জন্য আলাল মিয়া ও আব্দুস সমাদ উভয়কে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানায় আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা। রাজনগর থানায় আলাল মিয়ার লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বানারাই গ্রামের আলাল মিয়া প্রধামন্ত্রীর ভূমিহীনকে দেওয়া ঘর পাওয়ার জন্য আব্দুস সামাদ নামক ব্যক্তিকে ৪০ হাজার টাকা দেয়। আব্দুস সামাদ ১নং ওয়াডের ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান মিটুকে দিয়ে ঘর দিবে বলে জানায়।

পরে বানারাই আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর বরাদ্ধ দেওয়া শেষ হয়ে গেলে সে টাকার জন্য আব্দুস সামাদকে বললে সে তাকে হুমকি ধামিকি দেয়। এব্যাপারে আলাল মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে, তিনি বলেন, দশ হাজার টাকা ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান মিটুর নিয়েছেন। ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে বলে তিশ হাজার টাকা আব্দুস সামাদ নিয়েছে। রাজনগর থানার মামলায় আলাল মিয়া শুধু আব্দুস সামাদ টাকা নিয়েছে বলে উল্লেথ করেছে। আলাল মিয়ার নিকট অভিযোগের বিষয়টি মোবাইল ফোনে  জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আরো একটি অভিযোগ ইউএনও অফিসে দিয়েছি যে, ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান মিটু ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন। বাকী ৩০ হাজার নিয়েছে আব্দুস সামাদ। তার কোন অভিযোগ সঠিক জানতে চাইলে সঠিক কোন উত্তর করতে পরেননি। এলাকার লিটন মিয়া তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আলাল মিয়া এখানের বাসিন্দা ছিল না।

বর্তমানে সে ভোটার হয়েছে। সে কারো প্ররোচনায় এতো বড় একটা মিথ্যা অপবাদ ইউপি সদস্য মাহবুবকে দিচ্ছে। তার বিচার হওয়া উচিৎ। এলাকার  কোন ব্যক্তি ইতিপূর্ব এবিষয় শুনেননি বলে জানান। এবিষয়ে মাহবুবুর রহমান মিটু বলেন, আমি আলাল মিয়ার ঘটনার বিষয় কিছু জানতাম না। আলাল মিয়াকে  আমার নিকট আব্দুস সামাদের বিচার নিয়ে আসে। আমি তাকে থানায় নিয়ে গিয়ে অভিযোগ করতে বলি। পরে পুলিশ ঘটনা তদন্তে আসলে আব্দুস সামাদ সে টাকা নিয়েছে স্বীকার করে টাকা ফেরত দেবে বলে জানায়। এরমধ্যে কারও প্ররোচায় সে আমাকে জড়িত করে কথাবার্তা বলছে। মাহবুবুর রহমান আরো বলেন, সরকারী সম্পত্তি রক্ষায় নিজ ়উদ্দ্যোগে ২০১৬ সালে লংঙ্গু নদী,ছিকার খাড়া প্রশাসনের সহযোগীতায়  প্রভাবশালীদের  নিকট থেকে দখল মুক্ত করি।

জাউয়া মৌজায় ভূহীনদের জন্য ১০টি ঘরের ভূমি, একজন ভূমিহীনের.  ১০ শতক জমি সরকার প্রদত্ত,আশ্রাকাপন পানি উন্নয়ন বোর্ডর খাল, পদ্মা বিলের সরকারী খাল দখল মুক্ত করতে নিজে উদ্দ্যোগ নিয়ে প্রশাসনের সহযোগীতায়  প্রভাবশালীদের হাত থেকে উদ্দার করি। বানারাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের. ৩৩ শতক ভূমি যার মূল্য ৩৩ লাখ টাকা আমরা দান করেছি। নোয়াগাও বানারাই মানুষের চলাচলের জন্য মূল্যবান জমি আমারা দিয়েছি। আশ্রায়ন কেন্দ্রের  ১৯ পরিবার ঘর পেয়েছে তারা বলতে পারবে আমি কি ধরনের সহযোগীতা করেছি। তারা আমাকে কোন টাকা পয়সা দিয়েছে কি না। আমি এখন প্রতিহিংসার শিকার।

সর্বশেষ আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২৩, ২০:৩৫
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও