মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে ব্যাংকের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিনব জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকের নামে ৫০ হাজার টাকা লোন নিয়ে লাপাত্তার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত এ ব্যাংক কর্মকর্তা হলেন জুড়ীতে কর্মরত পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার মোঃ কামরুল হাসান মজুমদার। প্রতারণার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রঞ্জন চন্দ্র দে’র কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের বেলাগাঁও গ্রামের মোঃ আব্দুল হকের ছেলে মোঃ এখলাছ দীর্ঘদিন থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ মুমীত আসুক চত্ত্বরে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। ব্যবসার কাজে বিনিয়োগ করার জন্য বিগত ৪/৫ মাস পূর্বে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক জুড়ী শাখার শাখা ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে নিয়োজিত কামরুল হাসান মজুমদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তাকে ঋণ দিতে সম্মতি প্রকাশ করেন এবং ঋণ দেওয়ার জন্য গ্রাহকের ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি ও ২’শ টাকা আবেদন জমা নেন। সকল কাগজপত্র দেওয়ার পর তিনি ঋণ দেয়া নিয়ে টালবাহানা করতে থাকে। বারবার যোগাযোগ করলে এখনও ঋণ অনুমোদন হয়নি বলে তাকে জানানো হয়। পরে হঠাৎ করে চলতি বছরের ২৪ জুলাই ঋণের কিস্তি গ্রহণকারী কর্মকর্তা গ্রাহকদের নিকট কিস্তি দেওয়ার জন্য ফোন করে। পরে অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান এক মাস আগেই তার নামে ঋণ উত্তোলন করা হয়েছে। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত শাখা ব্যবস্থাপক কামরুল হাসান মজুমদার আমার স্বাক্ষর জাল করে ঋণ নিয়ে ছুটিতে বাড়ীতে চলে যান। এ নিয়ে মোঃ এখলাছ তাঁর সাথে প্রতারণার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
একটি সূত্র জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ রকম দুর্নীতির আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি অনেক সাধারণ গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে আসছেন। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কর্মকর্তার এমন অভিনব প্রতারণায় অতিষ্ঠ সাধারণ গ্রাহকরা।
প্রতারণার শিকার মোঃ এখলাছ বলেন, এ কর্মকর্তা আমার স্বাক্ষর জাল করে ঋণ নিয়ে লাপাত্তা হয়ে আছেন। আমি এর প্রতিকার চাই।
এ বিষয়ে জানতে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার মোঃ কামরুল হাসান মজুমদারের মুঠোফোনে বারবার ফোন দিয়ে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক জুড়ী শাখার ব্যবস্থাপক দীপঙ্কর কুমার চন্দ বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক মৌলভীবাজার জেলা আঞ্চলিক কর্মকর্তা তানজিল মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গ্রাহকের স্বাক্ষর জাল করে যদি এ কর্মকর্তা ঋণ নিয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুড়ী উপজেলা নিবার্হী অফিসার রঞ্জন চন্দ্র দে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
সর্বশেষ আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২৩, ০১:২৩
পাঠকের মন্তব্য