মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে নার্সদের শিশু প্রসব করতে গিয়ে গলা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১২ আগষ্ট) ভোর ৫টায় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। নবজাতকের গলা ছিড়ে যাওয়ায় অবস্থা বেগতিক দেখে ডেলিভারি শেষ না করে অপারেশন থিয়েটারে মা-শিশুকে রেখে নার্সরা নবজাতক শিশুর মাকে বলে আমরা আর পারছি না আপনি এখন চেষ্টা করুন বলে চলে যায়,পরে অন্য নার্সরা এসে রোগীকে বেডে পাঠায় বলে অভিযোগ করেন নবজাতকের মা লিপি বেগম।
নবজাতকের পিতা ওয়ারিছ মিয়া বলেন, আমার স্ত্রী লিপি বেগমের প্রসব ব্যথা ওঠে। অবস্থা খারাপ দেখে তাকে মৌলভীবাজার ২৫০শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। প্রথমে হাসপাতালের নার্সরা রোগী দেখে জানান নরমাল ডেলিভারিতে সন্তান হবে।
পরে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়।পরে ভোর ৫টায় নার্স এসে বলে বাচ্চা মৃত জন্ম নিয়েছে বাচ্চাটি দুই দিন আগে পেটের ভিতরে মৃত্যু হয়।পরে আমরা মৃত বাচ্চা কে নিয়ে যেতে বললে কয়েকজন নার্স সাদা কাগজ নিয়ে এসে বলেন সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে।আমার মামা কাগজে স্বাক্ষর করেন পরে লাশ নিয়ে বাড়ীতে যাওয়ার পর লাশের কার্টুন খুলে দেখি নবজাতকের গলা ছিড়া এবং তাজা রক্ত বের হচ্ছে।পরে আমি বুঝতে পারি শিশুটির ডেলিভারি করতে গিয়ে তার গলা ছিঁড়ে ফেলে নার্স।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি,আমরা এমন একটি ঘটনা শুনেছি।রোগীর অভিভাবকের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাইনি পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নিব।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও বলেন,রোগীর সাথে কোন পরীক্ষা নিরীক্ষার কোন কাগজ পত্র নেই। এবং রোগীর ডেলিভারির সময় আগামী মাসের ২৭/৯/২০২৩ইং তারিখ ছিল।রোগীর ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় পরে মৃত বাচ্চা প্রসব করে।
সর্বশেষ আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৩, ০০:১৯
পাঠকের মন্তব্য