মৌলভীবাজার শহরের দি প্লাজমা ডায়াগনষ্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের বিরুদ্ধে ভুয়া রিপোর্ট প্রেরণ ও ডা. ইসমাত জাহানের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ সেবনে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের ছাত্রী মারাত্বক অসুস্থ হয়ে মৃত্যুপথযাত্রী হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার ৩ আগস্ট দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর পিতা মো: নোমান রাজা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন ১৫ জুলাই তার মেয়ের অসুস্থতার জন্য দি প্লাজমা ডায়াগনষ্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের বিশেষজ্ঞ ডা. ইসমাত জাহানকে দেখান। তারপর তিনি কিছু পরীক্ষা করার জন্য বলেন।
পরীক্ষাগুলো করানোর পর রিপোর্ট দেখে ডাক্তার বলেন তার থাইরয়েড রোগ হয়েছে। সে অনুযায়ী চিকিৎসা পত্র লিখেন। ঔষধ সেবনের পর শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২২ জুলাই ঢাকা সলিমুল্লাহ কলেজের অধ্যাপক ডা. মীর মোশাররফ হোসেনকে দেখান।
সেখানে পপুলাল ডায়গনস্টিক সেন্টারে লি: নামীয় প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ডাক্তার বলেন তার থাইরয়েডের কোন সমস্যা পাওয়া যায়নি। ডাক্তার ইসমাত জাহানের ব্যবস্থাপত্রে থাইরয়েডের লিখা ঔষধ খাওয়াতে নিষেধ করেন।
দি প্লাজমা ডায়াগনষ্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের পরিচালক মনসুর আহমদ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন এই অভিযোগটি আমরা শুনেছি।
তবে ভূয়া রিপোর্ট যেটি বলা হয়েছে সেটি ভিত্তিহীন। এটা যে ভূয়া রিপোর্ট সেটাতো আগে প্রমাণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যারা অভিজ্ঞ তারা বলতে পারবে এটি ভূয়া না সঠিক।
এ বিষয়ে ডা. ইসমাত জাহান বলেন থাইরক্স ঔষধে সমস্যা হবার কথা নয়। রোগির অন্য কোন সমস্যার কারণে এটা হতে পারে। রোগি যদি পরবর্তীতে আবার আমার কাছে আসতো তাহলে দেখা যেত বিষয়টি কি কারণে হয়েছে।
সর্বশেষ আপডেট: ৪ আগস্ট ২০২৩, ০৩:১৬
পাঠকের মন্তব্য