মৌলভীবাজার রাজনগরে ভাই আর ভাতিজাকে খুন করাতে সন্ত্রাসী ভাড়া করলেন ছোট ভাই

ছবি মুক্তিবাণী
ছবি মুক্তিবাণী
বিশেষ প্রতিবেদক মৌলভীবাজার ||

ভাই আর ভাতিজাকে খুন করাতে সন্ত্রাসী ভাড়া  করলেন ছোট ভাই। এমনি একটি অভিযোগ উঠেছে রাজনগর উপজেলায়। 

মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের ধুলিজোড়া গ্রামের হাজী আক্কল আলীর ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আসকর আলীর উপর, বিষয় টি নিয়ে রাজনগর উপজেলায় তোলপার। হাজী আক্কল আলীর বড় ছেলে আকবর আলী  খেলার সাথে ছোট ভাই আসকর আলীর বাসা বাড়ি,ম্যানশন ও হাওরের জমি জমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধটি এতই গভীরে গিয়েছে যে আসকর আলী তার বড় ভাই আকবর আলী খেলা ও তার ছেলে সাইদুল ইসলাম রোকনকে জানে মারার জন্য সন্ত্রাসীদের ৭ লক্ষ টাকায় ভাড়া করা হয়েছিলো।

আকবর আলী খেলা বলেন আমাদের বাবা হাজী আক্কল আলী মারা জায়ার পর ৪০ দিনের ভীতরে আমি আসকর আলী,আশরাফ আলী ,আনফর আলী মা কনিজা বিবি,বোন আসাবুন বিবিকে লন্ডন পাঠাই। আজ তারা বড় হয়ে আমার দিকে আঙ্গুল তোলে । আজ  সম্পত্তি নিয়ে কথা বলে,আমি যদি এসব ধরে না রাখতাম তাহলে এসব সম্পত্তি কবে শেষ হয়ে যেত।

আমি আকবর আলী খেলা পরিস্কার ভাষায় বলছি তাদের সম্পত্তিতে আমি হাত দেইনি। আসকর আলী কয়েটি গণমাধ্যমে বলেছে আমি ৩৫ বছর ধরে তার এবং ছোট ভাই বোনদের সম্পত্তি ভোগ দখল করে খাচ্ছি । এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা তার কোন ভিত্তি নেই । কিন্তু আমি বলতে পারি আসকর আলী ছোট ভাই বোনদের সলাপরামর্শ দিয়ে তাদের কাজ থেতে কম দাম দিয়ে তাদের সম্পত্তি কিনে নিয়েছে।

আসকর আলীর বাসা,ম্যানশন,দোকানে আমি তালা মারিনি। তার সম্পত্তি তার জায়গায় আছে,আমার জায়গায় আমি। মিছফা বেগমের জায়গার কথা বলা হয়েছে। ১৯৯৭ সালে আদালতে আমি মামলা করলে আদালত সেই সময় আমার পক্ষে রায় দেন।  আমি রায় পাবার পরও আসকর মিছফা বেগমের জায়গা কিনে নেয়,মিছফা বেগমের জায়গা ছেড়ে দেবার জন্য আসকর আলী আমাকে অনেক ভয় ভিতি দেখায় সে কারনে ৫/২০২৩ ইংতে আমি আদালত থেকে একটি নিষেধাজ্ঞা আনি।

এই জায়গাটুকু নিয়ে আসকর আলী সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয় । বিরোধটা এতটাই বেড়েছে যে আমাকে ও আমার ছেলেকে জানে মারার জন্য আনুমানিক ২০১৪ সালে সন্ত্রাসী ভাড়া করে। সেই সন্ত্রাসীরা হলো মৃত আছিদ মিয়ার ছেলে পায়েল মিয়া,মৃত আব্দুল খালিকের ছেলে ইসকন মিয়া। আমাদের মারার ফন্ধির কথা জেনে যায় আমার চাচাত ভাই মৃত সাইস্তা মিয়ার ছেলে পারভেছ মিয়া। পারভেছ আমাকে এই বিষয় টি জানালে আমি থানায় একটি অভিযোগ করি, অভিযোগের কথা শুনতে পেরে আসকর আলী প্রবাসে চলে যান।

হাওর নিয়ে অনেক মারামারি হয়েছে, সব কিছু আমি ট্রেকেল দিয়েছি। লিজ নিতে আমার ভাইরা আসে না আমি লিজ নিয়েছি,এখন সবাই তাদের হিসাব চাইছে। খরচের বেলায় তারা কেউ নেই, লাভের টাকা নিতে সবাই আসে। ৩৫ বছর ধরে তারা যে সম্পত্তি বানিয়েছে সেই সম্পত্তিতে আমার হক আছে। কারন আসকর আলী কে আমি নিজে অনেক জায়গা কিনে দিয়েছি। চলতি বছরের কয়েক মাস আগে আমার ছোট ভাই আনফর আলী দেশে এসে আমার চাচাত ভাই পারভেছ কে সাতে নিয়ে আমার উপর একটি মিত্যা মামলা করেন আসকর আলীর কথায়। আনফর আলী তার ভুল বুজতে পেরে সে লন্ডন যাবার আগে একটি আপস নাম দিয়ে যায়।

আসকর আলী এবার কাউকে না জানিয়ে দেশে এসে পুরনো সন্ত্রাসী পায়েল ও ইসকনকে সাথে নিয়ে আমাকে ও আমার  ছেলেকে মারার জন্য গুপন বৈইঠক করছে। গত ২০/০৭/২০২৩ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার সময় অনুমানিক ১.১৫ মিনিটের সময় পানসী রেষ্টুরেন্টে আসকর আলী ইসকন ও পায়েল মিয়াকে দেখতে পাই। আমার কাছে সন্দেহ হলে আমি রাজনগর থানায় ২৪/০৭/২০২৩ ইংতে একটি অভিযোগ করি।

এদিকে সাইদুর রহমান রোকন বলেন আমার চাচা আসকর আলীর কথায় আমার বাবার সাতে অনেক খারাপ আচরণ করেছি। আসকর আলীর কথায় আমি অনেক খারাপ কাজ করেছি। যা বলার ভাষা আমার কাছে নেই। বিষয় গুলো জানতে আসকর আলীকে একাধিক বার মুঠফোনে যোগাযোগ করলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে রাজনগর থানায়  অভিযোগের কথা জানতে চাইলে অফিসার ইনসার্চ বিনয় ভূষণ রায় বলেন আকবর আলী খেলা ওনার ভাই আসকর আলীর উপর একটি অভিযোগ করেছেন। আকবর আলীর সন্দেহ আসকর আলী কিছু একটা করে বসবে। তবে আমরা বলেছি দুজনকে থানায় এনে বিষটি শেষ করে দিবো।

সর্বশেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৩, ১৪:১৫
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও