মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার পাচঁগাঁও ইউনিয়নের ধুলিজুড়া গ্রামের লন্ডন প্রবাসী আসকর আলী,আশরাফ আলী,আরব আলী,আনফর আলী ও তাদের বোন আয়মনা বিবি,ময়মনা বিবি,আসুরানী বিবি, ছাপারুন বিবির জায়গা সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশে থাকা  তাদের বড় ভাই আকবর আলী ওরফে খেলা মিয়ার  উপর।

লন্ডন প্রবাসী আসকর আলী জানান ৩৫ বছর ধরে  আমাদের জায়গা সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে খাচ্ছেন খেলা মিয়া। আমরা হিসাব চাইলে আমাদেরকে বলেন তোমাদের কিসের হিসাব দিবো। তোমরা কোন জায়গা সম্পত্তি পাওনা। এধরনের কথা শুনতে শুনতে আমরা একবার বাংলাদেশে আমাদের বাড়িতে আসি। সেই সময় এলাকার মায় মুরুব্বি,আমাদের আত্মীয় স্বজন বলেন বড় ভাই ভুল করে বলে ফেলেছে এসব মন থেকে ছেড়ে দেও । সেই সময় আমরা আর কিছু বলিনি। আমরা লন্ডন চলে গেলে আবার শুরু হয় খেলা মিয়ার উৎপাত ।

মিছপা বেগম নামে একজনের কাবিনের জায়গা নেবার জন্য  খেলা মিয়া মামলা করে। সেই মামলায় খেলা মিয়ার পক্ষে রায় দেন আদালত। তখন মিছপা বেগম আপিল করলে আদালত মিছপা বেগমের পক্ষে রায় দেন । আদালতের রায় পাবার পর মিছপা বেগম জায়গা টি বিক্রি করে দেন প্রবাসী আসকর আলীর কাছে। তখন খেলা মিয়া কোন আপত্তি করে নি। আমাদের জায়গা সম্পত্তি বাটোয়ারা নামা হয়। সেই সুবাদে আমারা রাজনগরের বাসা, ম্যানশন (পুরাতন রাজনগর সিনেমা হল) বাড়ির জায়গা, হাওড়ের জায়গা পাই। আমি আমাদের প্রবাসী ভাইদের কাছ থেকে কিছু জায়গা ক্রয় করে মালিক হয়েছি। রাজনগরের বাসা ও দোকান কোটা ভাড়া দেই। খেলা মিয়া আমার বাসার ভাড়াটিকে বিদায় করে সেখানে তালা মেরে দেয়। দোকান দারদের গিয়ে বলে এই দোকানের মালিক আমি খেলা মিয়া,আমি আদালত থেকে রায় এনেছি তোমরা আমাকে ভাড়া দিবে। ব্যাবসায়ীরা ভয়ে কিছু না বলে খেলা মিয়ার কথায় সায়দেন নইলে দোকানে তালা পড়বে।

এদিকে রাজনগরের সাধারন মানুষ বলছেন খেলা মিয়া একজন বাজে মানুষ আদালত কে ফাঁকি দিয়ে সে একটি রায় এনেছে। যেখানে আপিল করে মিছপা বেগম আদালত থেকে রায় পায় সেই রায়ের কপি দেখে প্রবাসী আসকর আলী মিছপা বেগমের জায়গা ক্রয় করেন। এখন দীর্ঘদিন পর মিছপা বেগমের আপিলের রায় গোপন করে খেলা মিয়ার পুরাতন রায় আদালত কে দেখিয়ে নতুন রায় একটা এনে বলছে জায়গা আমার। প্রবাসী আনফর আলী বলেন খেলা মিয়া আমার বাড়ির কয়েকশ গাছ বিক্রি করেছে।বাড়ির যা পুকুর আছে সেই গুলো লিজ দিয়েছে হাওরের বিল নিয়ে সমস্যা করছে। এসব বিষয় নিয়ে তার সাথে বার বার সমস্যা হচ্ছে। নিজের ছেলে রোকনকে বানিয়েছেন সন্ত্রাস আমরা তার সঠিক বিচার চাই।

বোনরা মুঠোফোনে বলছেন খেলা মিয়ার কু-নজর পড়েছে আমাদের জায়গা সম্পত্তির উপর আমরা ও আমাদের ভাইরা লন্ডন থেকে টাকা পাঠালে সে আমাদের উপর খুশি। যে মানুষটি পথে পথে বিয়ে করে সে জায়গা সম্পত্তির মায়া কি বুঝবে। প্রবাসী আশরাফ আলী মুঠোফোনে বলেন খেলা মিয়ার এইসব বিষয় গুলো আমার ভাই আসকর আলী রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান খান কে বলেন। তিনি বলেন খেলা মিয়াকে ডেকে এনে জিজ্ঞাস করবেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাজাহান খান বলেন প্রবাসী আসকর আলী আমাকে খেলা মিয়ার কথা বলেছেন । আমি খেলা মিয়াকে আমার অফিসে এনে বিষয় গুলো শেষ করার জন্য বলেছি। কিন্তু তিনি আমার কথা শোনেন নি।