কমলগঞ্জে মসজিদের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলা সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৩, এক জনের অবস্থা আশংকাজনক

ছবি মুক্তিবাণী
ছবি মুক্তিবাণী
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ॥

মৌলভীবাজার কমলগঞ্জ উপজেলার ছয়কুট এলাকায় নতুন মসজিদ নির্মানকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলায় ৩ জন মারাত্তক ভাবে আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন  ইকবাল মিয়া(৪৫), বদরুল ইসলাম(৪২), শহীদ আহমদ(৪৭)।

গুরুত্বর আহত ইকবাল মিয়া(৪৫)কে মুমূর্ষ অবস্থা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরন করা হয়েছে। আহতরা বিরোধ পূর্ন জমির মালিক দাবীদার লন্ডন প্রবাসী মানিক উল্লার লোক বলে জানাগেছে। এব্যাপারে কমলগঞ্জ থানায় লন্ডন প্রবাসী মানিক উল্লার ভায়রার ছেলে পারভেজ মিয়া(৩৮) বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে ছয়কুট এলাকার নির্মানাধীন নতুন মসজিদের সামনে রাস্তার এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। পারভেজ মিয়া জানান, লন্ডন প্রবাসী মানিক উল্লাহর ছয়কুট এলাকায় একটি মসজিদ ও এতিম খানার জন্য ৪১ শতক জমি দান করেন।

দানকৃত জমির মধ্যে অর্ধেক মসজিদের নামে ওয়াকফ করা হয়। বাকি অর্ধেক কাগজের জটিলতায় ওয়াকফ করা যায়নি। শুধু মাটি ভরাট করে রাখেন। ওই জমিতে সাদত আহমদ ওরফে মুহিদ রহমান গং জবর দখল করার পায়তারায় লিপ্ত ছিল। এই ব্যাপারে ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: ইফতেখার আহমদ বদরুল সহ মৌলভীবাজার জেলার গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ নিয়ে ৭ জুলাই শুক্রবার বৈঠক হয়। বৈঠকে সিন্ধান্ত হয় সাদত আহমদ ওরফে মুহিদ রহমান যে জমি দখলের পায়তারা করছে তা থেকে বিরত থাকতে। এব্যাপারে  তাদের পরবর্তী ৭ দিনের সময় দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময় গত বৃহস্পতিবার শেয় হয়।

পারভেজ মিয়া তার খালু লন্ডন প্রবাসী মানিক উল্লাহ জায়গা জমি দেখাশুনা করেন। বর্তমানে জমিতে নতুন মসজিদ নির্মানের কাজ চলছিল। এলাকার সাদত আহমদ ওরফে মুহিদ রহমান, শামীম আহমদ, শাহিন আহমদ, মনাফ উল্লাহ, টিপু মিয়া, জামিল আহমদ, জহুর আহমদ,মসুদ আহমদ, শাহিন মিয়া গং উক্ত মসজিদের জায়গা দখল করার চেষ্টা করছিলেন। এই জায়গা-জমি বিরোধের নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে ২টি মামলা বিচারাধীন আছে। পারভেজ মিয়া ছয়কুট নতুন মসজিদ নির্মানের কাজে টাকা দিয়ে সাহায্যকরী কিছু লোক নিয়ে মসজিদের নির্মানাধীন কাজ দেখতে যান। সেখানে পৌছা মাত্রই ধারালো দা, কাঠের রুইল, লোহার রড দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাদত আহমদ ওরফে মুহিদ রহমানের হুকুমে উল্লেখিত ব্যাক্তিরা অর্তকিত ভাবে তাদের  উপর হামলা করে। তাদের হামলায় ইকবাল মিয়ার ডান হাতের তালু, বুক, পেটে, মাথা, ও চোখে মারাতœক ভাবে জখম হয়।

উক্ত জখম গুলোতে ১৫২টি সেলাই লেগেছে। এ ঘটনায় বদরুল ইসলাম(৪২), শহীদ আহমদ(৪৭) মারাত্তক ভাবে আহত হন। আহত ব্যাক্তিদেরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসলে ইকবাল মিয়ার অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় সিলেট ওসমনী হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার রেফার্ড করেন। পারভেজ মিয়ার পরিবারের দাবী শুক্রবার মসজিদ নির্মানের কাজে বাঁধা দিতে জগন্য সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সাদত আহমদ ওরফে মুহিদ রহমান গং এর জামিল মিয়া রবিবার ১৬ জুলাই একটি মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে মনগড়া বানোয়াট মিথ্যা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। অতচ আমাদের ১ জন মৃত্যুর মুখামুখি, ২জন মারাত্তক ভাবে আহত হয়েছেন। এব্যাপারে ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: ইফতেখার আহমদ বদরুল এর ০১৭৩৩৫২৫০৮৪ নাম্বারে কল করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

এঘটনার বিষয় কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, মসজিদের পাশের জমি নিয়ে তারা চাচা ভাতিজায় দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সমাধানের জন্য আমরা স্থানীয় প্রশাসন এলাকার চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্য লোক চেষ্টা করেও বিফল হই। গত শুক্রবার ছয়কুট মসজিদের নিকটে সংঘর্ষের খবর পেয়ে এসআই অনিক চন্দ্র দাশকে কিছু ফোর্সসহ পাঠাই। পরবর্তীতে অবস্থা বেগতিক খবর পেয়ে আমি অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনা স্থলে যাই। ঘটনাস্থলে পৌঁছে একজন মারাত্তক ভাবে আহত হয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। এসময় আরো দুইজনও আহত অবস্থায় ছিল। এ অবস্থায় আমি পুলিশ সুপার স্যারের সাথে আলাপ করে আহতদেরে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে পাঠাই। এব্যাপারে আমার থানায় উভয় পক্ষের ২টি মামলা হয়েছে। আসামী ধরার জন্য জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে।

সর্বশেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৩, ০২:৪৭
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও