মৌলভীবাজার পৌরসভার উদ্যোগে দেশের প্রথম পরিত্যক্ত পলিথিন কেনার হাটে দ্বিতীয় সপ্তাহে পরিত্যক্ত পলিথিন বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫শ ৪০ কেজি। রোববার (১৬ জুলাই) বিকেলে পৌরসভার মেয়র চত্বরে পরিত্যক্ত পলিথিনের জমজমাট হাট বসে।
এ সময় দেখা যায়, মুষলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্রেতারা কেউ ছাতা, কেউবা পলিথিনের ছোট্ট বস্তাটি মাথায় নিয়ে একে একে হাজির হন হাটে। পৌর কর্তৃপক্ষ ওজন করে যার যার প্রাপ্য টাকা বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, এই হাট সপ্তাহে প্রতি রোববার বিকেলে বসে। আজ পরিত্যক্ত পলিথিন ৫০ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ৫ শ ৪০ কেজি পরিত্যক্ত পলিথিন কেনা হয়েছে ৪১জন বিক্রেতার কাছ থেকে। এর আগে হাটের উদ্বোধনের দিন গত রোববার (৯ জুলাই) ৬৫ জন বিক্রেতা কাছ থেকে ৪শ ৯৭ কেজি পরিত্যক্ত পলিথিন কেনা হয়।
এই হাটে কথা হয় বিক্রেতা মাহমুদ মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, গত হাটে ৫ কেজি পরিত্যক্ত পলিথিন বিক্রি করেন। আজকের হাটে ২২ কেজি পরিত্যক্ত পলিথিন বিক্রি করে ১১শ টাকা পান।
হাটে আজ ৭ কেজি পরিত্যক্ত পলিথিন বিক্রি করেন জানিয়ে শহরের পরিচ্ছন্নতা কর্মী মলি বাস্পার বলেন, গত হাটে ৩ কেজি পলিথিন বিক্রি করেছিলাম। শহরের বিভিন্ন সড়ক পরিচ্ছন্নতা কালে পরিত্যক্ত পলিথিনগুলো সংগ্রহ করে বাড়তি আয় হচ্ছে।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পরিত্যক্ত পলিথিন অপরিচ্ছন্ন করে রাস্তাঘাটসহ বাসাবাড়ির আঙিনাকে। পলিথিন ও প্লাস্টিক সহজে পচে না এবং মাটির গুণাগুণ নষ্ট করে। আগুনে পোড়ালে তৈরি হয় কার্বন যা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে। এ ছাড়া পানি নিষ্কাশন বা ড্রেনেজ ব্যবস্থা চরমভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। আর এই পরিত্যক্ত পলিথিন ৫০ টাকা কেজি দরে কিনেছে মৌলভীবাজার পৌরসভা।
পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, আপাতত ক্রয়কৃত পলিথিন ও প্লাস্টিক শহরতলীর জগন্নাথপুরে পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশনে বিনষ্ট করা হবে। তবে ভবিষ্যতে যদি কোন প্রতিষ্ঠান প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য এসব কিনতে চায় তাহলে বিক্রি করা হবে।
মেয়র পৌর নাগরিকদের সার্বিক সহযোগিতা চেয়ে বলেন, এই শহরের সৌন্দর্য্য রক্ষায় সকলকে আন্তরিকভাবেই এগিয়ে আসতে হবে। তা না হলে কখনোই পৌরসভা একা এমন কাজে সফল হতে পারবে না।
এই হাটে কথা হয় বিক্রেতা মাহমুদ মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, গত হাটে ৫ কেজি পরিত্যক্ত পলিথিন বিক্রি করেন। আজকের হাটে ২২ করে ১১শ টাকা পান।
হাটে আজ ৭ কেজি পরিত্যক্ত পলিথিন বিক্রি করেন জানিয়ে শহরের পরিচ্ছন্নতা কর্মী মলি বাস্পার বলেন, গত হাটে ৩ কেজি পলিথিন বিক্রি করেছিলাম। শহরের বিভিন্ন সড়ক পরিচ্ছন্নতা কালে পরিত্যক্ত পলিথিনগুলো সংগ্রহ করে বাড়তি আয় হচ্ছে।
সর্বশেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৩, ১৬:২০
পাঠকের মন্তব্য