মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের একাংশ বর্তমান কমিটির বিরোদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও অ গণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় তারা গঠনতন্ত্র সংশোধন না করে নির্বাচন না করারও দাবী জানান ।
১৬ জুলাই রবিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবে চা শ্রমিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চা শ্রমিকনেত্রী গীতা কানু। এ সময়
উপস্থিত ছিলেন চা শ্রমিক বিশ্বজিৎ রিগমন, কাজল বাগতি, সংকর ভুমিজ, সুমন সাওতাল ও পরিমল সিং বারাইক।
সংবাদ সম্মেলনে গীতা কানু বলেন, বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে প্রায় আড়াই বছর আগে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনে মেয়াদ শেষ হওয়া পর যারা
নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে না এমন সদস্যদের দিয়ে নির্বাচন কমিশনার গঠন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বর্তমান কমিটি তা না করে গড়িমশি করে
সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আরো প্রায় এক মেয়াদ কাটায়। এখন আবারও ক্ষমতায় থাকতে নিজের মতো করে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নিজেদের লোকদিয়ে নির্বাচন
কমিশন গঠন করেছে। গঠনতন্ত্র পুণ: সংশোধন না করে নিজেদের স্বার্থ সংশি-ষ্ট গঠনতন্ত্র দিয়ে নির্বাচন না করতে সিলেট শ্রম আদালতে মামলাও হয়েছে।
এ সময় বক্তারা বলেন, একই সাথে এই নির্বাচনের জন্য সাধারণ শ্রমিকের শ্রম ও ঘামের উপাজিত অর্থ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা কর্তন করা হবে। যা তারা লূটেপুটে
খাবে। তাই তারা গঠনতন্ত্র পুন সংশোধন না করে ও সমন্বিত নির্বাচন কমিশিন গঠন না করে নির্বাচন না করার দাবী জানান।
এ সময় চা শ্রমিক বিশ্বজিৎ রিগমন জানান, এ বিষয়ে শ্রম আদালতে দুটি মামলা আছে মামলা রেখে নিবার্চন প্রকৃয়া চালানো আদালত অবমাননা সামিল।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন বালিশিরা ভেলী সভাপতি বিজয় হাজরা
জানান, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নিবার্চনের জন্য শ্রম অধিদপ্তরকে তারা তাদের মেয়াদ
উত্তির্ন হওয়ার তিন মাস আগে চিঠি দিয়েছেন। শ্রম মন্ত্রনালয় নিবার্চনের খরচ নিয়ে অর্থমন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করে কিন্তু সরকার থেকে টাকা ছাড়া না পাওয়ায় তা বিলম্বিত হয়। অবশেষ আমরা শ্রমিকদের টাকা দিয়েই নিবার্চন সম্পন্ন করার সিন্ধান্ত নিয়ে শ্রম মন্ত্রনালয়ে ২০ লক্ষ টাকা জমা দিয়েছে। আরো ৫০ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করছি।
সর্বশেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৩, ১৭:৫৮
পাঠকের মন্তব্য