মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল জেলার মধ্যে একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতাল।কিন্তু এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও কর্মচারীদের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় প্রতিদিন হাসপাতালের দু-একটি বিভাগ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এতে জেলার ৭ টি উপজেলা ও ৫ টি পৌরসভাসহ আশপাশের সিলেট ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে অনেক রোগী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন।
সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে সরজমিন মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর আধুনিক হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায় শত শত রোগীর ভীড়।
কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়ন থেকে আসা হারুন মিয়া নামক একজন রোগী জানান, তিনি অর্থোপেডিক্স বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। কিন্তু ডাক্তার না থাকায় এই বিভাগ সাময়িক বন্ধ। তাই বাইরে চিকিৎসা নিতে হবে।
সরজমিন সেখানে গিয়ে দেখা যায় অর্থোপেডিক্স বিভাগের পাশাপাশি নাক কান গলা বিভাগও তালাবন্ধ। হাসপাতালে আরও দেখা যায় এম আর আই কক্ষ বন্ধ। ডায়লাসিস ইউনিটের ৬ টি বেড নষ্ট।
হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্য মতে আগেরদিন রোববার এই হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে ৭৪৪ জন রোগী চিকিৎসা নেন।পাশাপাশি আবাসিক ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিলো ১৩৫ জন।
মৌলভীবাজার ২৫০ হাসপাতালে চিকিৎসক কর্মচারী সংকট রোগীদের ভোগান্তি চরমে
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. বিনেন্দু ভৌমিকের কক্ষে গেলে তার সাথে বসা পাওয়া যায় হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফয়সাল জামানকে।তিনি জানান, হাসপাতালে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী আসছেন। কিন্তু ডাক্তার কম। বিশেষ করে বর্তমানে ৫৪ জন ডাক্তার জায়গায় কাজ করছেন ৩৭ জন। চিকিৎসকের শুন্য পদের সংখ্যা ১৭ টি।
এছাড়া দ্বিতীয় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদসহ মোট ৪৭ টি পদ শুন্য রয়েছে। আউটসোর্সিং ক্লিনারের পদে আরও ৪৭ জন নেই। সব মিলিয়ে জনবল সংকট প্রকট ।হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. বিনেন্দু ভৌমিক জানান, এসব শুন্য পদের বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো অনেক বিভাগ নেই। কিন্তু সরেস পদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদায়ন করা হয়। আবার চালু আছে এমন বিভাগের ডাক্তারদের প্রত্যাহার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৩, ০০:৪০
পাঠকের মন্তব্য