মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কনকপুর-পুদিনাপুর সড়কের একটি অংশের সংস্কারকাজ শেষ হয়নি। তারপরও কাজের সময় শেষ হয়ে গেছে ৩০ জুন।
বৃষ্টি ও যানবাহনের চাকায় সড়কে বিছানো ইট-সুরকি উঠে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গতের সৃষ্টি হয়েছে। কাজ শেষ না হওয়ায় এই পথ দিয়ে চলাচলকারী এলাকাবাসী, যানবাহনের চালক, পথচারী দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সদর উপজেলা কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সড়কের কনকপুর ইউনিয়নের কনকপুর থেকে বুদ্ধিমন্তপুর পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার এলাকায় রাস্তা মেরামতের কাজ করছে এলজিইডি।
ছয়-সাত মাস আগে ঠিকাদার সড়কের কাজ শুরু করেন। এ পর্যন্ত সড়কের বুদ্ধিমন্তপুর থেকে আব্দা পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। মাস দুই আগে এই কার্পেটিং হয়েছে।এদিকে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে। কিন্তু আব্দা থেকে কনকপুর ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটারের কাজ ফেলে রাখা হয়েছে। আব্দা থেকে কনকপুর পর্যন্ত সড়কে ইট-সুরকি ফেলে রাখা আছে।
কার্পেটিং হয়নি। এখন বর্ষাকাল চলছে। যানবাহন চলাচলসহ বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অনেক গতের সৃষ্টি হয়েছে।
এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। এই রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে ছোট-বড় গাড়ি চলাচল করে। গাড়িচালক, পথচারী ও এলাকার মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। আজ দুপরে কনকপুর-পুদিনাপুর সড়কের মেরামত অংশে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের মধ্যে ইট-সুরকি ফেলা হয়েছে। এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। এসব গর্তে পানি জমে আছে। ঝুঁকি নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান এই রাস্তা দিয়ে কনকপুরের পশ্চিমাঞ্চলের নড়িয়া, পুদিনাপুর, ভাদগাঁও, বুদ্ধিমন্তপুর, দামিয়া, রাজাপুর, আব্দা, বছলন্দর, রায়পুর, মামরকপুর, কনকপুর, নলদাড়িয়াসহ অনেক গ্রামের মানুষ আসা–যাওয়া করেন।
প্রতিদিন কয়েক শ অটোরিকশা হাজারবার এই সড়ক দিয়ে আসা–যাওয়া করে। অটোরিকশাচালক খুরশেদ মিয়া বলেন, ‘নয় মাস ধরি রাস্তার অবস্থা খারাপ। গাড়ি চালাই আর যে কাম করের (কাজ করছে), তারে গালিয়াই (গালিগালাজ করি)।’ কনকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান জুলহাস আহমদ বলেন,‘অনেক দিন ধরে কাজ হচ্ছে। কিছু কাজ করা হয়, তারপর ফেলে রাখে। বৃষ্টি দেওয়ায় এখন সড়কে গর্ত হয়ে গেছে।’ এলজিইডি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সড়কের কনকপুর থেকে বুদ্ধিমন্তপুর পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটারে মেরামতকাজ চলছে। এটি ১ কোটি ২৩ লাখ টাকার মেরামতকাজ। জেরিন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। জুন মাসে এই কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত বুদ্ধিমন্তপুর থেকে আব্দা পর্যন্ত কাজ হয়েছে। এলজিইডি সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘জেরিন এন্টারপ্রাইজের নামে একজন নারী ঠিকাদার কাজ করছেন। অনেক কাজের সঙ্গে এই কাজও তিনি ফেলে রেখে গেছেন। তবে প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ করেছেন। যেটুকু হয়েছে কোয়ালিটি মেনটেইন করেই করা হয়েছে। এখন উনি (ঠিকাদার) জানিয়েছেন, তিনি অসুস্থ।
সর্বশেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৩, ১৬:৪২
পাঠকের মন্তব্য