বড়লেখায় পারিবারিক ও সার্বজনিন মন্দিরে চুরির হিড়িক পড়েছে। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে চোরেরা ৯টি মন্দিরের পূজা অর্চনার মালামাল চুরি করেছে।
এর ৮টি চুরিই হয়েছে উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নে। এছাড়া দিনে-দুপুরে মসজিদের ব্যাটারি চুরিরও ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যেকটি চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ দিলেও এখনও কোন চোর ধরা পড়েনি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, চোর ধরতে পুলিশের তৎপরতা কম।
থানায় করা লিখিত অভিযোগ, স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জুন রাতে চোরেরা উপজেলার পূর্ব হাটবন্দের শীতলাদেবী মন্দিরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। মন্দির থেকে চোরেরা প্রায় ২৮ হাজার টাকা মূল্যের ১টি সৌর বিদ্যুতের ব্যাটারী ও কন্ট্রলার, ১টি দা ও ১টি শিবকুসা চুরি করে নিয়ে যায়। মন্দিরের সেক্রেটারী গৌরাঙ্গ কুমার চক্রবর্তী জানান, গত ১ জুলাই মন্দির চুরির ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু ঘটনা তদন্তে কোন পুলিশ যায়নি।
২৩ জুন রাত থেকে ২৪ জুন ভোররাতের মধ্যে উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাবনিয়া গ্রামের বিভাষ দাস (৪৫), সজল কান্তি দাস (৫৩), বিপ্লব দাস (৪৯), অশোক দাস (৪০) ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাজপুর (কুমারপাড়া) গ্রামের দিলীপ রুদ্র পালের (৫৬) পারিবারিক পূজা অর্চনার মন্দিরের তালা ভেঙে চোরেরা পিতলের মূর্তিসহ পূজা অর্চনার আসবাবপত্র নিয়ে যায়। ৫টি পরিবারের প্রায় ১ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।অপরদিকে, গত ১৪ জুন দিবাগত রাত থেকে ১৫ জুন ভোররাতের মধ্যে আতুয়া এলাকায় কালাচন্দ চন্দ, দিপঙ্কর চন্দ ও ইন্দ্রজিত চন্দের পারিবারিক পূজা অর্চনার মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় কালাচন্দ চন্দ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু ঘটনার প্রায় ১৫ দিনেও কোন চোর ধরা পড়েনি।
অন্যদিকে, গত ১৯ জুন শাহবাজপুর বাজারের মসজিদে বিকেল ৪টার দিকে চোরেরা মসজিদে ঢুকে ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে গেছে।ভুক্তভোগী কালাচন্দ চন্দ বলেন, চুরির ঘটনায় পুলিশের তৎপরতা নেই বললেই চলে। তৎপরতা থাকলে আমাদের বাড়ির চুরির পরে অন্য বাড়িতেও একই ঘটনা ঘটত না। একই রকম কথা বলেছেন, ভুক্তভোগী শোভন রুদ্র পাল।
উত্তর শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রফিক উদ্দিন আহমদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে শাহবাজপুরে হঠাৎ চুরি বেড়ে গেছে। কিন্তু কোনো চোর ধরা পড়ছে না। এতে জনমনে আতংক বিরাজ করছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় পুলিশকে আরও কঠোর হওয়া দরকার। তবে শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রবিউল হক বলছেন, চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার এবং চুরির সাথে জড়িতদের ধরতে তারা কাজ করছেন।
সর্বশেষ আপডেট: ৫ জুলাই ২০২৩, ০০:৫২
পাঠকের মন্তব্য