ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে নেই চিরচেনা দৃশ্য। সাধারণ ছুটির দিনের চেয়েও এবারের ঈদে লাউয়াছড়ায় পর্যটক সংখ্যা অনেক কম।
শুক্রবার (৩০ জুন) বিকেল তিনটার দিকে সরেজমিন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ঘুরে দেখা যায়, বিচ্ছিন্নভাবে কিছু পর্যটক ঘুরাফেরা করছেন। তবে এ সংখ্যা খুবই কম এবং অধিকাংশই স্থানীয়।
লাউয়াছড়া টিকেট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা শাহীন মাহমুদ বলেন, ‘‘অন্যান্য বছরের তুলনায় ঈদের এই দুইদিন লাউয়াছড়ায় পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম। অন্য সময় যেভাবে ভিড় থাকে আজ সে ভিড় নেই। যারা এসেছেন তাদের মধ্যে স্থানীয় পর্যটকের সংখ্যা বেশী। বাইরের পর্যটক কম এসেছে। ঈদের দিন বৃহস্পতিবার বিদেশী পর্যটকসহ সারাদিন ২৯৪ জন পর্যটক ছিলেন। এরমধ্য বিদেশী পর্যটক ছিলেন ২৭ জন।
রাজস্ব আয় হয়েছে ২৬ হাজার টাকা। আর শুক্রবার দ্বিতীয়দিন দুপুর ১টা পর্যন্ত ৩০০ জন পর্যটক প্রবেশ করেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১২০০ পর্যটক প্রবেশ করেন। বিদেশি পর্যটক নেই। রাজস্ব আয় হয়েছে ৫৫ হাজার৯৮২ টাকা।’’
শাহীন মাহমুদ আরও বলেন, ‘‘অন্যান্য সময় ঈদের মৌসুমে লাউয়াছড়ায় প্রতিদিন কমপক্ষে এক থেকে দুই হাজার পর্যটক প্রবেশ করেন। সে তুলনায় বর্তমান এই সংখ্যা খুবই কম।’’পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ট্যুরিস্ট পুলিশের দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক প্রবাল সিনহা বলেন, ‘‘লাউয়াছড়ায় সাধারণ সময়ে যে ভিড় থাকে ঈদের ছুটিতে এই দুইদিন ভিড় নেই বললেই চলে। রাস্তাও ফাঁকা।হয়তো দু’একদিনের মধ্যে পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।’’
কমলগঞ্জ জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি মানজুর আহমেদ মান্না বলেন, ‘‘মূলত টানা বৃষ্টির কারণে মৌলভীবাজার জেলায় পর্যটক কম এসেছেন।
এদিকে লাউয়াছড়া সংরক্ষিত জাতীয় উদ্যানে পর্যটকশূন্যতাকে আশির্বাদ হিসেবে দেখছেন পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষকেরা। তারা মনে করেন সংরক্ষিত বনে পর্যটকের উপস্থিতি কম মানে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি কম হবে। বনের বাসিন্দা পশুপাখি কম উত্যক্ত হবে। তারা ভালো থাকবে।’’
সর্বশেষ আপডেট: ১ জুলাই ২০২৩, ১৪:২৩
পাঠকের মন্তব্য