হজের মোট ৩ দিনে মক্কার প্রচণ্ড তাপ ও গরমে হিটস্ট্রোকের শিকার হয়েছেন সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি হজযাত্রী। সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আমিরাতভিত্তিক দৈনিক গালফ নিউজ।
এর বাইরে গত ৩৯ দিনে অন্তত ১ লাখ ১১ হাজার ৭৬১ জন হজযাত্রী তীব্র গরমজনিত কারণে অসুস্থতার শিকার হয়ে হাসপাতাল এবং অস্থায়ী স্বাস্থ্যশিবিরগুলোতে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. মোহম্মদ আল আবদুল আলী।
গালফ নিউজকে ড. আবদুল আলী বলেন, ‘গরম ও তাপজনিত কারণে হিটস্ট্রোকের শিকার সব রোগীকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ রকম পরিস্থিতির জন্য আমাদের প্রস্তুতি ছিল। সৌদির সরকার আল্লাহর অতিথিদের সর্বোচ্চ সেবাদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
মধ্যপ্রাচ্যের মরু আবহাওয়ার দেশ সৌদি আরবে শীতকালের ২-৩ মাস ব্যতীত সারা বছরই গরম থাকে। তবে মে-জুন-জুলাই মাসে তাপমাত্রা থাকে সর্বোচ্চ। এই তিন মাসের প্রায় প্রতিদিনই সৌদির গড় তাপমাত্রা থাকে ৪২ ডিগ্রি থেকে ৪৫ ডিগ্রির মধ্যে।
হজ ইসলামের পঞ্চম স্থম্ভ বলে স্বীকৃত। এই ধর্মের বিধান অনুযায়ী প্রত্যেক সামর্থ্যবান ও সক্ষম মুসলিম নরনারীর জন্য জীবনে অন্তত অতি আবশ্যিক বা ফরজ।
আরবি চান্দ্র বর্ষপঞ্জির শেষ মাস জিলহজের ৮ তারিখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় হজ, শেষ হয় ১০ তারিখ পশু কোরবানির মধ্যে দিয়ে। চাঁদের গতিবিধির ওপর ভিত্তি করে আরবি বছর গণনা হওয়ার কারণে প্রতি বছরই ১০ দিন করে এগিয়ে আসে হজের সময়সূচি।
চলতি বছর এমন এক সময়ে পড়েছে হজের মৌসুম, যখন সৌদিতে পুরোপুরি গ্রীষ্মকাল। সৌদি সরকার অবশ্য হজযাত্রীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের জন্য মক্কা ও মদিনার ৩২টি হাসপাতাল ও ১৪০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৩২ হাজার ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী সার্বক্ষণিকভাবে মোতায়েন রেখেছিল।
এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিশেষ নির্দেশনায় হজযাত্রীদেরকে, সূর্যালোক যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা, প্রচুর পানি ও তরল খাদ্য গ্রহণ ও ছাতা ব্যবহার করতে বলা হয়েছিল। সৌদি সরকারের হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে চলতি বছর ১৮ লাখেরও বেশি মানুষ মক্কায় গিয়েছেন হজ করতে।
সর্বশেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৩, ১৯:৩৫
পাঠকের মন্তব্য