৯ অক্টোবর থেকে শনিবার পর্যন্ত নৌ পুলিশ ৭৮ কোটি ৮৯ লাখ ৬২ হাজার ৬৪০ টাকা মূল্যের ২ কোটি ৯৭ লাখ ৬৮ হাজার ১১৭ মিটার কারেন্ট জালসহ বিভিন্ন জাল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ৮২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের ১৬ হাজার ৬৬০ কেজি মা ইলিশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) ফরিদা পারভিন জানান, ৮ টি নৌ অঞ্চলে একযোগে অভিয়ান চালানো হয়। এ সময় ১ হাজার ৭২১ জন জেলেকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ১ হাজার ১৭৭ জনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা, ৩১৩ জনকে ১৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১১২ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয় এবং মুচলেকার মাধ্যমে ৬৪ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১৪ জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেইসঙ্গে ৫ টি বাল্কহেডকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা, ১৬২ টি নৌকা ডুবিয়ে দেয়া, ৪৫ টি থানা হেফাজতে দেয়া ও ১৯ টি ভেঙে ধ্বংস করা হয়েছে। ২২ টি নৌকা স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেট ও চেয়্যারম্যানের জিম্মায় ও ১ টি নৌকা ঘাট সুপারভাইজারের হেফাজতে দেয়া হয়েছে। ৫ টি ট্রলার নদীতে ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে, ৬ টি রাখা হয়েছে ফাঁড়ির হেফাজতে রাখা আর ৪টি মৎস্য অফিসারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। ৫ টি বাল্কহেড মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ফরিদা পারভিন জানান, জব্দ মাছ বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। আর জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
নৌ পুলিশ জানায়, প্রতিটি অঞ্চলে একজন এসপি ও অতিরিক্ত এসপি এবং ২ জন সহকারী পুলিশ সুপারের (এএসপি) নেতৃত্বে ১৩০ জন নৌ পুলিশ সদস্য অভিযান চালাচ্ছেন। প্রজনন এলাকায় নদীতে স্পিডবোর্ড, ট্রলারসহ বিভিন্ন নৌযানের মাধ্যমে দিনরাত টহল দিচ্ছে নৌ পুলিশ।
নৌ পুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলাম জানান, আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মেঘনা-তেতুলিয়া নদীর কয়েকটি পয়েন্টে মা ইলিশ ডিম ছাড়বে। এ সময় কোটি কোটি ইলিশ মাছের উৎপাদন হয়। এ কারণে প্রজনন এলাকায় প্রচুর মা ইলিশের বিচরণ শুরু হয়। কিন্তু অসাধু জেলে দাদনদারদের কারণে অনেক জেলে অতি লোভের কারণে নদীতে অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবহারের কারণে মা ইলিশ মারা পড়ে। এর ফলে ডিম ছাড়ার সুযোগ পায় না মা ইলিশ। তাই সরকার ইলিশের প্রজনন বাড়াতে প্রতিবছরের মতো এ সময়টি মা ইলিশ নিধন বন্ধে নদীতে সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে। নৌ পুলিশ সরকারের এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছে।
পাঠকের মন্তব্য