ভারি বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব নদ-নদীর পানি ক্রমাগত বাড়ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এসব এলাকায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে সুরমা, কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, ঝালুখালী, ভোগাই-কংস, সোমেশ্বরী ও জাদুকাটা নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে এবং সিলেট ও সুনামগঞ্জের কিছু পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে ততসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
সংস্থাটি বলছে, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও পদ্মার নদীর পানি বাড়ছে এবং আগামী বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া ভারি বৃষ্টির কারণে আজ সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি দ্রুত বাড়তে পারে। এ সময় পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে নদীর পানি হাওরে প্রবেশ করানোর সুফল মিলেছে। ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বাড়লেও খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, গতকাল বিকেল ৩টার দিকে সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে ছিল। ছাতক পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল।
ভূরুঙ্গামারীতে ভাঙন আতঙ্ক : গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ভূরুঙ্গামারীতে সব নদ-নদীর পানি বেড়েছে। ফলে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষের।
কুড়িগ্রাম পাউবো জানিয়েছে, গত শনিবার বিকেল পর্যন্ত দুধকুমার নদের পানি ভূরুঙ্গামারীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কিন্তু রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার দুধকুমার, ফুলকুমার, কালজানি, সংকোষসহ সব নদ-নদীর পানি বেড়েছে।
সর্বশেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৩, ১৪:০৬
পাঠকের মন্তব্য