পঞ্চদশ সংশোধনী বহাল রেখে কোনো নিষেধাজ্ঞাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারে না

মুক্তিবাণী অনলাইন ডেক্স :

গত ২৫ মে বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে একটি বিশেষ ভিসানীতি ঘোষণা করেছেন। এরপর এই ভিসানীতি নিয়ে সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনা চলছে। পত্র পত্রিকায় বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে নিবন্ধ বা কলাম লেখা হচ্ছে। এটি এতই সাম্প্রতিক বিষয় যে এই ভিসানীতির বিস্তারিত বিবরণ আমি ইচ্ছা করেই দিলাম না। কারণ, সকলেই ইতোমধ্যে এটা জেনে গেছেন। পত্রপত্রিকা এবং বিভিন্ন টকশোতে এই বিষয়য়ে যেসব পয়েন্ট আলোচিত হয়েছে, সেগুলো আমি এখানে উল্লেখ করবো না। বরং যে দুই একটি বিষয় আলোচনায় আসেনি, কিন্তু যেগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেই বিষয়গুলো আজ আলোচনার চেষ্টা করবো।

প্রথমেই আসি এই ভিসানীতি ঘোষণা নিয়ে। বাংলাদেশে এটি ২৫ মে রাত সাড়ে ১১টায় ঘোষিত হয়েছে। পরদিন এটা বিভিন্ন সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে। ঐ ভিসানীতিতে বলা হয়েছে যে, এই নীতিটি বাংলাদেশ সরকারকে অবহিত (ঘড়ঃরভু) করা হয়েছে ৩ নভেম্বর। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, ৩ মের পর পুরো ২১টি দিন অতিক্রান্ত হলো, এই ২১ দিন পর্যন্ত বিষয়টি সরকার জনগণের কাছে গোপন করে গেল কেন? কেন ২১ দিন পর ওয়াশিংটন থেকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার পর এদেশের মানুষ এটি জানতে পারলো? এটি সমগ্র জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সংবিধানে বলা আছে এবং এটি সব রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য যে রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। জনগণের টাকাতেই সরকার চলে। সেই রাষ্ট্রের মালিক জনগণের নিকট বিষয়টি ২১ দিন ধরে গোপন করা হলো কেন?

অথচ ২৫ মের ৪/৫ দিন আগে ‘দৈনিক কালবেলা’ নামক একটি পত্রিকায় প্রথম পৃষ্ঠায় প্রধান সংবাদ হিসেবে যে সংবাদটি ছাপা হয়েছিল তার শিরোনাম ছিল মোটামুটি নি¤œরূপ: ‘খুব সহসাই স্যাংশন আসছে: সরকারও প্রস্তুত’। ঐ সংবাদে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছিল যে ২৮ মের ভেতরেই এই স্যাংশন আসবে। ২৮ মের ৩ দিন আগেই ঘটনাটি ঘটলো। অবশ্য ভিন্ন নামে। সেটি হলো, বাংলাদেশের নির্বাচনকেন্দ্রিক ভিসানীতি। কেউ কেউ হয়তো বিষয়টিকে হালকা করে বলতে পারেন যে, আমেরিকা তো কোনো নতুন স্যাংশন দেয়নি। তারা যেটা করেছে সেটি হলো ভিসা রেস্ট্রিকশন। অনেক আলোচক এবং বিদগ্ধজন বলছেন যে, এই ভিসা রেস্ট্রিকশন, যেটি ৩ মে দেওয়া হয়েছে, সেটি স্যাংশনের চেয়েও অনেক কঠোর এবং এর প্রভাবও ব্যাপক।

কালবেলার খবরের প্রতি সাংবাদিকরা অন্তত ৩ জন মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তারা সকলেই বলেছেন, তারা এ সম্পর্কে কিছু জানেন না। এই ৩ জন মন্ত্রীর মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনও আছেন। তিনিও বলেছেন যে তিনি কিছুই জানেন না। কেন এই লুকোচুরি? দেখা গেল, ৩ মের পরেও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মহল থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী এবং সিনিয়র নেতা আমেরিকাকে ধোলাই দিচ্ছেন। ৩ তারিখে মার্কিন সরকার জানানোর পরেও প্রধানমন্ত্রী সফরে থাকাকালে বিবিসিকে বলেন যে, আমেরিকা হয়তো চায় না যে তিনি ক্ষমতায় থাকুন। বিবিসির সাথে প্রধানমন্ত্রীর এই সাক্ষাৎকারও জনগণ ইতোমধ্যেই পড়ে ফেলেছেন। ২৫ মে পর্যন্ত অর্থাৎ আমেরিকার নতুন ভিসা রেস্ট্রিকশন সিদ্ধান্ত জানার পরেও সরকারের অনেক হোমরা চোমরা আমেরিকাকে তুলোধুনা করেছেন। অথচ, ২৬ মে এই রেস্ট্রিকশনের সিদ্ধান্ত পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর হঠাৎ সরকারের সুর নরম হয়ে গেল। এসবের মধ্যে রয়েছে অনেক জিজ্ঞাসা, যার জবাব হয়তো কোন দিনও পাওয়া যাবে না।

॥দুই॥

একটি বিষয় আপনারা লক্ষ করেছেন, ভিসানীতি প্রণয়ন করা হয় সাধারণত পৃথিবীর সকল দেশের জন্য। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছে শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্য। তাও আবার আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। সুনির্দিষ্ট দেশের জন্য এই ধরনের ভিসা রেস্ট্রিকশন দেওয়া হয়েছে নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, উগান্ডা প্রভৃতি দেশের জন্য। এই ভিসা রেস্ট্রিকশনের সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশকে কি নাইজেরিয়া, উগান্ডা, সোমালিয়ার স্তরে নামিয়ে আনা হয়নি? এটি কি আমাদের দেশের জন্য অবমাননাকর নয়? এরজন্য দায়ী কে? আর যারাই হোন না কেন, নিশ্চয়ই সাধারণ জনগণ দায়ী নন।

আপনারা আরো ভাল করে লক্ষ করলে দেখবেন, নাইজেরিয়ায় ভিসা রেস্ট্রিকশন দেওয়া হয়েছে ইলেকশনের ৩ মাস পর। অর্থাৎ ইলেকশনের পর তদন্ত করে দেখা হয়েছে যে, কারা সেখানে ভোট ডাকাতির জন্য দায়ী। তারপর তাদের ওপর ভিসা রেস্ট্রিকশন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের অবস্থা আরো খারাপ। নির্বাচন হওয়ার এখনো কমপক্ষে ৭ মাস বাকি আছে। এই ৭ মাস আগে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। তাহলে এর কারণ কী? আপনারা সকলেই জানেন, ভিসা রেস্ট্রিকশনের মূল সুর হলো আগামী নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তার নিশ্চয়তা বিধান করতে চায় আমেরিকা। এর অন্তর্নিহিত অর্থ হলো এই যে, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। আর আরো একটি উদ্দেশ্য হলো, তাদের ভাষায়, ভোটের কারচুপি রোধ করা। অর্থাৎ আগের ভোটে কারচুপি হয়েছিল, সেটি এখানে উহ্য রয়েছে।

আরেকটি বিষয় দেখুন। যাদেরকে এই রেস্ট্রিকশন বা নিষেধাজ্ঞার (এখন থেকে আমরা নিষেধাজ্ঞা বলবো) আওতায় আনা হবে তারা হলেন, বর্তমানে কর্মরত ও সাবেক আমলা তথা সরকারি কর্মচারী, সরকারি ও বিরোধী দল নির্বিশেষে রাজনৈতিক দল, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, নিরাপত্তা বাহিনী এবং জুডিশিয়ারি বা বিচার বিভাগ। আবার লক্ষ করুন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বলার পরেও নিরাপত্তা বাহিনী বলা হয়েছে। তাদের মনে কী আছে সেটি তারাই জানেন। ভোট কারচুপি যারা করতে পারেন বা যাদের বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে তাদের মধ্যে জুডিশিয়ারি বা বিচার বিভাগকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাহলে চিন্তা করুন, বিষয়টি কতদূর গড়িয়েছে।

এখন যে বিষয়টি মোটেই আলোচিত হয়নি সেই বিষয়টি নিয়ে আমি আলোচনা করবো। সেটি অনেকে এড়িয়ে গেলেও আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। সেটি হলো, সমগ্র নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তটির চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো আসন্ন নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা। এজন্য কোনো পক্ষ ভয় ভীতি প্রদর্শন করতে পারবেন না, কোনো পক্ষ স্বাভাবিক রাজনৈতিক তৎপরতা এবং নির্বাচনী কর্মকা-ে বাধা দিতে পারবেন না ইত্যাদি ইত্যাদি। এটি খুব স্পষ্ট যে এটি নির্বাচন কেন্দ্রিক নিষেধাজ্ঞা। কোন নির্বাচন কেন্দ্রিক? বলাবাহুল্য, এটি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কেন্দ্রিক, যেটি ডিসেম্বরের শেষে বা আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এখন প্রশ্ন হলো, দেশে রাজনৈতিক সংকট কোন ইস্যুটি নিয়ে? অবশ্যই নির্বাচন নিয়ে, কিন্তু এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। এটিই এখন সমস্ত বিরোধী দলের দাবি। তারা চায় এই সরকারের অপসারণ, বর্তমান জাতীয় সংসদ বিলোপ, অতঃপর একটি নিরপক্ষে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, সেই সরকার কর্তৃক একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন এবং সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান।

॥তিন॥

বড় বড় পলিটিশিয়ান, বড় বড় সিভিল সোসাইটির সদস্য প্রমুখ যাই বলুন না কেন, এই ভিসা রেস্ট্রিকশন কোর ইস্যু অর্থাৎ মূল সমস্যাটিকে অ্যাড্রেস করেনি। এখন বিএনপি তথা সমস্ত বিরোধী দলের একমাত্র দাবি হলো এই সরকারের অপসারণ। ২৫ তারিখে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারির পর ২৬ তারিখে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দকে তার অফিসে চায়ের দাওয়াত করেন। সেখানে তিনি এই তিনটি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃৃন্দের কাছে ভিসা নিষেধাজ্ঞা ব্যাখ্যা করেন। বিএনপির তরফ থেকে যে দুই জন গিয়েছিলেন তাদের একজন হলেন সাবেক মন্ত্রী এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির মেম্বার আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি ২৬ ও ২৭ মে পরপর দুইটি সমাবেশে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছেন, কোনো অবস্থাতেই তারা এই সংসদ বহাল রেখে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন না। এই সরকারকে অপসারণ করার জন্য বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা সহসাই কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তারা বলছেন, তাদের কর্মসূচী শান্তিপূর্ণ হবে। শান্তিপূর্ণ হওয়ার সংজ্ঞা কী? আওয়ামী লীগ যে আন্দোলন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রাজি হতে বিএনপিকে বাধ্য করেছিল, সেই আন্দোলন কি শান্তিপূর্ণ ছিল? ১৭৩ দিনের হরতালসহ ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগের কাহিনী এখনো অনেকে ভুলে যাননি। ধরে নেই যে লক্ষ লক্ষ লোকের জনসভা ও মিছিল করলো বিএনপি। সারাদেশ জনতার পদভারে উত্তাল হলো। তারপরেও সরকার পদত্যাগ করলো না। এ ক্ষেত্রে মার্কিন ভূমিকা কী হবে? তারা কি এরপরেও বলবে যে তোমরা এই সরকারের অধীনেই নির্বাচনে যাও? এই প্রশ্নটিকে আমেরিকার ভিসা নীতিতে অ্যাড্রেস করা হয়নি।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করা। যুক্তি দেওয়া হতে পারে যে ভারতসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে তো ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই নির্বাচন হয়ে থাকে। কথাটি ঠিক। কিন্তু তার পাশাপাশি এটাও ঠিক যে, নির্বাচনের আগে জাতীয় সংসদ বা পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়া হয়। পার্লামেন্টকে জীবিত রেখে কোনো দেশে ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় না। ধরুন, কোনো ব্যক্তি এখন এমপি আছেন। তিনি আবার আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হলেন। সে ক্ষেত্রে তিনি তো সিটিং এমপি হিসেবে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। আর প্রার্থী যদি মন্ত্রী হন তাহলে সুযোগ-সুবিধা ভোগের ষোলকলা পূর্ণ হবে। কিন্তু যদি সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া হয় তাহলে কিন্তু মন্ত্রী বা এমপিদের কোনো পাওয়ার থাকে না।

সংসদও থাকবে, সরকারও থাকবে, মন্ত্রী-এমপিও থাকবে, আর তাদের অধীনে নির্বাচন হবেÑ এমন একটি ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে। ২০১১ সালের ৩০ জুন এই সংশোধনীটি পাশ হয়। সেই সংশোধনীতে ত্রয়োদশ সংশোধনীতে বর্ণিত কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। এই পঞ্চদশ সংশোধনীতেই আরো অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো তীব্র বিতর্কিত বিষয়। সেগুলো পরের কথা। কিন্তু বিএনপি এবং বিরোধী দলসমূহ যদি এই সরকারের অপসারণ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে, তাহলে সেই আন্দোলন তো এই বার্তাই দেবে যে, আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচন তারা মানে না। তাহলে তারা কি ভিসা রেস্ট্রিকশনে পড়বে? সোজা কথা, পঞ্চদশ সংশোধনী বহাল রেখে যত রেস্ট্রিকশনই আরোপ করা হোক না কেন, সেটি কোনো অবস্থাতেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গ্যারান্টি দিতে পারে না। আমরা একথা বলবো না যে ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি ওয়াশিংটনকে বিবেচনা করতে হবে।

অবশ্য ওয়াশিংটন ভিত্তিক উইলসন সেন্টারের ভারত উপমহাদেশ বিষয়ক পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, এই ভিসা রেস্ট্রিকশনই শেষ নয়। আগামী ৭ মাস বাংলাদেশে কী ঘটে সেটি প্রতিনিয়ত নজরে রাখবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সুতরাং বাংলাদেশের মানুষও আগামী ৭ মাসের ঘটনাবলীর ওপর তীক্ষ্ম নজর রাখবেন।

সর্বশেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৩, ০১:০৬
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও