ভারী বৃষ্টিপাতে ইতালিতে দেখা দিয়েছে বন্যা। ২০টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) ১৩ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ঘরছাড়া ১৩ হাজারের বেশি মানুষ।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারী বর্ষণে হু হু করে বাড়ছে নদীর পানির উচ্চতা। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির রাভেনা শহর। শহরটির মেয়র মিশেল ডি পাসকেল জানান, বর্তমান পরিস্থিতি গত শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ।
বন্যার কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতিকে বিপর্যয়কর বলে মেয়র জানান, তাঁর শহর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
বিভিন্ন জায়গায় ২৮০টির বেশি ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে। এমিলিয়া-রোমাগনা প্রদেশে প্লাবিত অনেক গ্রাম। নদীর পাশাপাশি খালের পানিও লোকালয়ে ঢুকেছে। এতে চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।
ইতালির এমন পরিস্থিতির পেছনে জলবায়ুর পরিবর্তনকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। জাতীয়ভাবে পরিকল্পনার প্রয়োজন ছিল বলে ইতালি সরকারকে আগেই সতর্ক করেছিলেন অনেকে।
দেশটির বেসামরিক সুরক্ষা মন্ত্রী নেলো মুসুমেসি জানান, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় পরিস্থিতি ইতালিতে পৌঁছেছে। ৩৬ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। কিছু এলাকায় ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়।
মন্ত্রী জানান, গত ৪০ বছরে দেশের কোনো অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে হাইড্রোলিক ইঞ্জিনিয়ারদের নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আগামী মঙ্গলবার সংকটকালীন বৈঠক আহ্বান করেছে প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি সরকার।
সর্বশেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৩, ১১:৪১
পাঠকের মন্তব্য