বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অন্য দেশের মাথা ব্যথা কেন?

মুক্তিবাণী অনলাইন ডেক্স :

ভিন্ন কোনো দেশের পরামর্শে নয়, বরং দেশে নির্বাচন হবে গণতান্ত্রিক উপায়ে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেুতমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, বিশ্বের অন্য দেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আমাদের হস্তক্ষেপ নেই। তাহলে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কেন অন্য দেশের (বিদেশ) মাথা ব্যাথা থাকবে? গতকাল শনিবার রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব বলেন।

বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনে হেরে গেলে নির্বাচনে জয় লাভ করা যায় না। বিএনপি বিভিন্ন জোট করেও দেশে গণআন্দোলন রচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তাদের (বিএনপি) আন্দোলন মানুষ দেখতে পায়নি। জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া আন্দোলন হতে পারে না। বিএনপি ব্যর্থ গণআন্দোলন নিয়ে পথহারা পথিকের মতো, এখন তাদের ভবিষ্যত নিয়ে অন্ধকারে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করবে। দেশের আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিমাগারে পাঠিয়েছে। বিএনপির মাথায় এখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভুত রয়ে গেছে। নির্বাচন বন্ধ করার নামে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ নামের মামা বাড়ীর আবদার করছে বিএনপি। শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন যারাই বন্ধ করতে আসবে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে। সবকিছুতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ঐক্য হয়ে থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে যেকোনো অপশক্তি রুখে দিতে পারে। আওয়ামী লীগের শত্রু যেনো আওয়ামী লীগ না হয়, সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।

বিএনপির নেতাদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির গণতন্ত্র আমরা বিশ্বাস করি না। বিএনপি তো নিজেই এদেশকে ধ্বংস করে গেছে, আর শেখ হাসিনা একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। এর কারণে শেখ হাসিনার সাফল্য দেখে অনেকে হিংসা করে। ভোট পাওয়ার জন্য বিএনপির একটা দৃশ্যমান সফলতা নেই। তারা কী দেখিয়ে ভোট চাইবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মিথ্যাচার করে ক্ষমতায় যাওয়া যায় না। বিএনপির আন্দোলনে কেউ নেই, তাদের মিথ্যাচারের কারণে জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। বিএনপি এদেশের সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। তারা দেশ নয়, ক্ষমতায় বিশ্বাসী। দেশের স্বার্থে আওয়ামী লীগ অবিচল। আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশের মানুষের কথা কেউ ভাবে না। কাজেই আওয়ামী লীগ একমাত্র দল যে যারা দেশের মানষের কথা চিন্তা করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান-যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য সফর প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের অন্যতম এই শীর্ষনেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কল্যাণে বিদেশে গিয়েছেন নিজের প্রয়োজনে নয়। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের আমন্ত্রণে বিদেশে গিয়েছেন। আগামী অর্থ বছরের বাজেট নিয়ে আসছেন। বিশ্বব্যাংক বাজেটের জন্য ৫০০ বিলিয়ন দিতে প্রস্তুত। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি সদৃঢ়।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমূখ।

সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু : সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়নের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহত্তর রংপুর বিভাগের নেতাদের এক বিশেষ বৈঠকে এ ঘোষণা দেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ২০১৯ সালে তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এক নম্বর সদস্য হিসেবে পুননির্বাচিত হন।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের পর আওয়ামী লীগের সদস্য পদ নবায়নের ঘোষণার পর যথাক্রমে আওয়ামী লীগের সদস্য নবায়ন করেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, কোষাধ্যক্ষ এ এইচ এম আশিকুর রহমান, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান, হোসনে আরা লুৎপা ডালিয়া দলের সদস্য পদ নবায়ন করেন।

আওয়ামী লীগের পক্ষ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে গঠনগত অনুযায়ী জেলা, উপজেলার নেতাদের দলের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়নের বই সংগ্রহ করার কথা বলা হয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, নেত্রী বিদেশ যাওয়ার সময়ও দলের সদস্য সংগ্রহের ওপর জোর দিয়েছেন। বৃহত্তর রংপুর সেটাই শুরু করেছে। এখন থেকে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।

সর্বশেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও