★অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে খেয়ো না
সুরা নিসার ২৯ ও ৩০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে মু’মিনগণ! তোমরা অন্যায়ভাবে পরস্পরের ধন-সম্পদ গ্রাস করো না; কেবলমাত্র পরস্পর সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা কর তা বৈধ এবং তোমরা নিজেদের হত্যা করো না; নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল।
আর যে কেহ সীমা অতিক্রম করে অথবা জুলুমের বশবর্তী হয়ে এ কাজ করে, ফলত- নিশ্চয়ই আমি তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব এবং আল্লাহর পক্ষে এটা খুবই সহজসাধ্য।
★ কবীরা গুনাহ থেকে বাঁচলে সগীরা গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে
৩১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন, তোমরা যদি সেই বড় বড় পাপসমূহ হতে বিরত হও যা তোমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে, তাহলেই আমি তোমাদের ক্রটি বিচ্যুতিগুলো ক্ষমা করে দেব এবং তোমাদেরকে সম্মানজনক স্থানে প্রবিষ্ট করাব।
★ স্ত্রীর সব প্রয়োজন পূর্ণ করা স্বামীর দায়িত্ব
এই সুরার ৩৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, পুরুষরা নারীদের ওপর তত্ত্বাবধানকারী ও ভরণপোষণকারী, যেহেতু আল্লাহ তাদের মধ্যে একের ওপর অপরকে বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এই কারণে যে, তারা স্বীয় ধন সম্পদ হতে তাদের জন্য ব্যয় করে থাকে; সুতরাং যে সব নারী পুণ্যবতী তারা আনুগত্য করে, আল্লাহর সংরক্ষিত প্রচ্ছন্ন বিষয় সংরক্ষণ করে; যদি নারীদের অবাধ্যতার আশংকা হয় তাহলে তাদেরকে সদুপদেশ প্রদান কর, তাদেরকে শয্যা হতে পৃথক কর এবং তাদেরকে প্রহার কর; অনন্তর যদি তারা তোমাদের অনুগত হয় তাহলে তাদের জন্য অন্য পন্থা অবলম্বন করনা; নিশ্চয়ই আল্লাহ সমুন্নত, মহা মহীয়ান।
★ আল্লাহ ও তার বান্দাদের অধিকার সমূহ আদায় কর
সুরা নিসার ৩৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, এবং তোমরা আল্লাহরই ইবাদাত কর এবং তার সাথে কোন বিষয়ে অংশী স্থাপন করনা; এবং মাতা-পিতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার কর এবং আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীন, দরিদ্র, সম্পর্কবিহীন প্রতিবেশী, পার্শ্ববতী সহচর ও পথিক এবং তোমাদের দাস-দাসীদের সঙ্গেও সদ্ব্যবহার কর; নিশ্চয়ই আল্লাহ অহংকারী আত্মাভিমানীকে ভালোবাসেননা।
★ একদিন নিশ্চিত মৃত্যু হবে
৭৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু তোমাদেরকে পেয়ে যাবে, যদিও তোমরা সুদৃঢ় দুর্গে অবস্থান কর।
★ ন্যায়সঙ্গত সুপারিশে সওয়াব অন্যায় সুপারিশে গুনাহ
আল্লাহ তায়ালা সুরা নিসার ৮৫ নম্বর আয়াতে বলেন, যে কেউ সৎ সুপারিশ করবে সে তার অংশ পাবে এবং যে কেউ অসৎ সুপারিশ করবে সেও তার অংশ প্রাপ্ত হবে; এবং আল্লাহ সর্বশক্তিমান।
★অন্যের উপর অপবাদে দ্বিগুণ শাস্তি
একই সুরার ১১০, ১১১,১১২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, এবং যে কেউ দুস্কার্য করে অথবা স্বীয় জীবনের প্রতি অত্যাচার করে, অতঃপর আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থী হয়, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় দেখতে পাবে। এবং যে কেউ পাপ অর্জন করে, বস্তুতঃ সে স্বীয় আত্মার প্রতিই এর প্রতিক্রিয়া পৌঁছিয়ে থাকে এবং আল্লাহ মহাজ্ঞানী, বিজ্ঞানময়।
আর যে অপরাধ অথবা পাপ অর্জন করে, অতঃপর ওটা নিরপরাধীর প্রতি আরোপ করে, তাহলে সে নিজেই সেই অপরাধ ও প্রকাশ্য পাপ বহন করবে।
★ সুবিচার করো এবং সত্য সাক্ষ্য দাও
সুরা নিসার ১৩৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন, হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে সাক্ষ্য দানকারী, সুবিচার প্রতিষ্ঠাতা হও এবং যদিও এটা তোমাদের নিজের অথবা মাতা-পিতা ও আত্মীয়-স্বজনের প্রতিকূল হয়, যদিও সে সম্পদশালী কিংবা দরিদ্র হয় তাহলে আল্লাহই তাদের জন্য যথেষ্ট; অতএব সুবিচারে স্বীয় প্রবৃত্তির অনুসরণ করনা, আর তোমরা যদি ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বল কিংবা পাশ কাটিয়ে যাও তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের সমস্ত কর্মের পূর্ণ সংবাদ রাখেন।
★ আল্লাহ, রাসুল ও সকল আসমানী কিতাবের ওপর ঈমান রাখা ফরজ
মহান আল্লাহ সুরা নিসার ১৩৬ নম্বর আয়াতে বলেন, হে মু’মিনগণ! তোমরা বিশ্বাস স্থাপন কর আল্লাহর প্রতি ও তার রাসূলের প্রতি এবং এই কিতাবের প্রতি যা তিনি তার রাসূলের উপর অবতীর্ণ করেছেন এবং ওই কিতাবের প্রতি যা পূর্বে অবতীর্ণ হয়েছিল, এবং যে কেহ আল্লাহ, তদ্বীয় ফেরেশতা, তার কিতাবসমূহ, তার রাসূলগণ এবং পরকাল সম্বন্ধে অবিশ্বাস করে, নিশ্চয়ই সে সুদূর বিপথে বিভ্রান্ত হয়েছে।
দ্বীনিয়াত বাংলাদেশের গবেষণা বিভাগ থেকে অনূদিত
সর্বশেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৫:৪৫
পাঠকের মন্তব্য