শাস্ত্রে দণ্ডকজ্বর নামে অভিহিত করা হয়েছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের শারীরিক পরিস্থিতি কেমন হবে তা নির্ভর করে তার রোগ-প্রতিরোধী ক্ষমতার উপর।
যার ইমিউনিটি কম, তার ক্ষেত্রে ডেঙ্গু ভাইরাসের আক্রমণের প্রভাবও বেশি। তার শারীরিক অবস্থার অবনতিও দ্রুত ঘটেছে।
ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় পেঁপের পাতা ও পেঁপে ফল দুটিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অবশ্য রোগীর বমি করার প্রবণতা থাকলে পেঁপে পাতার রস খাওয়ালে বিশেষ ফল পাওয়া মুশকিল।
পেঁপে পাতার রস ডেঙ্গুর ভাইরাস দমনে কোনো সাহায্য করে না। প্রত্যেক ভাইরাস শরীরের একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত থাকে। তারপর নিজের থেকেই ভাইরাসের প্রকোপ কমে যায়। উদ্বেগের বিষয় হলো, ডেঙ্গু ভাইরাস যে ক’দিন মানবশরীরে থাকে, সেই সময়ের মধ্যে শরীরের নানা ধরনের ক্ষতি করে। ফলে প্রাণহানির একটা আশঙ্কা থেকে যায়।
এমনকী ডেঙ্গু ভাইরাসের কারণে অনেকের দেহে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। আর এমন হয় প্লেটলেট কাউন্ট কমে যাওয়ার কারণে। ডেঙ্গু ভাইরাসের কারণে রোগীর দেহের সদ্য তৈরি হওয়া অণুচক্রিকাও ভেঙে যায়। ফলে ক্রমশ প্লেটলেট কাউন্ট কমতে থাকে। পেঁপে পাতার রসে থাকা বিশেষ উপাদান ‘প্লেটলেট ফিক্সেসিং প্রপার্টি’ প্লেটলেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। নতুন প্লেটলেট তৈরি হতেও সাহায্য করে। ফলে ডেঙ্গু ভাইরাসের আক্রমণের মারাত্মক ফলাফল থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়।
মনে রাখবেন, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক পাঁচ মিলিগ্রামের বেশি পেঁপে পাতার রস পান করার প্রয়োজন নেই। পেঁপে ফলেও রয়েছে একইরকম উপাদান। ফলে ডেঙ্গু রোগীকে পাকা ফলের রস যেমন পান করানো যায়, তেমনই পাকা পেঁপেও খাওয়ালে ফল মেলে।
সর্বশেষ আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০১৯, ২১:৪৩
পাঠকের মন্তব্য