সাধারন মানুষ বলছেন ঈমানী চৌধুরী তুমি কার?

ঈমানী চৌধুরী
ঈমানী চৌধুরী
মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ

দুই গণমাধ্যমে দুটি বক্তব্য কোনটা সঠিক সেটা নিয়ে তোল পাড় রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের তৃনমুল নেতা কর্মীদের মাঝে। আর সাধারন মানুষ মনে করছেন এধরনের মানুষকে গুরুত্বপূর্ণ পদে দেয়ার আগে জেলার নেতা কর্মীদের চিন্তা করার প্রয়োজন ছিলো।


রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলীগেরে সদ্য কমিটির সভাপতি ঈমানী চৌধুরী, যার হাত ধরে রাজনগর ৮টি ইউনিয়নে,ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটি হবে। সেই ঈমানী চৌধুরী যদি এক মুখে দুই কথা বলেন তাহলে  তৃনমূল নেতা কর্মীরা উনার উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলবে, বলছেন সাধারন মানুষ।

গত ২১ ডিসেম্বর রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলীগেরে সভাপতি ঈমানী চৌধুরী বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বলেন জামাত বিএনপি আমি দেখতে পারিনা ,তারা আমার জানের  দুশমন, তাদের সাথে আমার কোন আত্মীয়তা নেই। কমিটিতে তৃণমূলের নির্যাতিত ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে জামাত ,বিএনপি ও জাসদের নেতাকর্মীদের ঠাই হয়েছে।

ঈমানী চৌধুরী

তিনি আরো বলেন আমি নিজেই জানিনা আমি  রাজনগরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়েছি। আমাকে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক ডেকে বলেন এই কমিটিতে সই করার জন্য। কমিটির অনেকের সাথে আমার পরিচয় আছে আবার অনেকের সাথে পরিচয় নেই। জামাত বিএনপি কমিটিতে থাকলে  বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নষ্ট হয়ে যাবে ।

যারা জামাত বিএনপি লালন পালন করেন কমিটিতে স্থানদেন তাদের বানানো আওয়ামীলীগ কর্মী আমি ঈমানী চৌধুরী না ,আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামীলীগ কর্মী।

এই কথাগুলো বলার টিক তিন দিন পর মিথ্যা বলে আরেক টি গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন ঈমানী চৌধুরী । সেখানে  বলেন কমিটিতে জামাত ,বিএনপি ও জাসদের কর্মী নেই তারা আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগ থেকে এসেছে। কমিটির সবাইকে আমি চিনি। আমার সাথে আলাপ আলোচনা করে কমিটি করা হয়েছে।এতে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের কোন দোষনেই।

কথাগুলো নিয়ে রাজনগর আওয়ামীলীগের তৃনমুলের নেতা কর্মীরা বলেন একজন সভাপতি যদি এক মুখে দুই কথা বলেন তাহলে তিনি দল চালাবেন কি করে,নাকি অন্য কেউ দল চালাবেন?। প্রথম দিকে তিনি গন্যমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছে,অন্য আরেক টি গন্যমাধ্যমে টিক তার উলোট আরেকটি বক্তব্য দিয়েছে। তাহলে এখানে সঠিক কোন বক্তব্য টি, না কি সভাপতি ঈমানী চৌধুরী বড় কোন পেসারের কারনে বক্তব্য পরিবর্তন করেছেন । আর উপজেলা জুড়ে সাধারন মানুষ সহ তৃনমুলের নেতা কর্মীরা বলছেন ঈমানী চৌধুরী তুমি কার? দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তোমাকে কে বলেছে।

এবিষয়ে রাজনগর আওয়ামীলীগের  সভাপতি ঈমানী চৌধুরীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। একাদিক বার ফোন করার পর তিনি ফোন ধরেন নি।

তবে রাজনগর আওয়ামীলীগের তৃনমুলের নেতা কর্মীরা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের কাছে  চান, এসব উল্টা পাল্টা কমিটি বাদ দিয়ে সুন্দর একটি কমিটি করে দিয়ে রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলীগেরে সুনাম ধরে রাখার জন্য।

সর্বশেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮:৫৬
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও