মৌলভীবাজার শহরের হাফিজা খাতুন মিউনিসিপ্যাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এছাড়া বিজ্ঞান বিভাগ থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। সাফল্য এসেছে অন্যান্য বিভাগেও। এই ফলাফল বিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) সারাদেশ এক যোগে এসএসসি ২০২২-এর ফলাফল বের হয়।
ফলাফলে দেখা যায়- হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগে ২৬ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ২৬ জনই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে চারজন। ‘এ’ গ্রেড পেয়েছেন ১৬ জন, ‘এ মাইনাস’ পেয়েছেন ৩ জন এবং ‘বি’ গ্রেড পেয়েছেন ৩ জন।
সর্বশেষ ছয় বছর আগে ২০১৬ সালে বিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৪ জন শিক্ষার্থী। এরপর দীর্ঘ ৬ বছর আর কোনো জিপিএ-৫ পায়নি বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী।
বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় ৪০ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পাস করেছে ৩৬ জন। ফেল করেছে চারজন। পাসের হার ৯০ শতাংশ। যদিও ‘এ প্লাস’ নেই। তবে ‘এ’ পেয়েছে ১২ জন, ‘এ মাইনাস’ পেয়েছে ১২ জন। ‘বি’ পেয়েছে ৩ জন এবং ‘সি’ পেয়েছে ৩ জন।
মানবিক বিভাগ থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় ১১০ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধে পাস করেছে ৮৩ জন। ফেল করেছে ২৭ জন। পাসের হার ৭৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ‘এ প্লাস’ নেই। ‘এ’ পেয়েছে ৯ জন, ‘এ মাইনাস’ পেয়েছে ১৭ জন। ‘বি’ পেয়েছে ২৮ জন, ‘সি’ পেয়েছে ৩ জন এবং ‘ডি’ পেয়েছে ৩ জন।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি খারাপ করেছে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সবচেয়ে ভালো করেছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
হাফিজা খাতুন মিউনিসিপ্যাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগম বলেন, ‘অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া হওয়ায় কয়েকজন মেধাবী শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। এছাড়া নিবন্ধনকৃত ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কয়েকজন শিক্ষকও নিয়োগ হয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান লেখাপড়ার মান উন্নয়নে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অন্যান্য শিক্ষকরাও চেষ্টা করছেন। যে কারণে এবার অন্য বছরের তুলনায় ভালো ফলাফল এসেছে।
হাফিজা খাতুন মিউনিসিপ্যাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান উন্নয়ন করতে। সেজন্য প্রশিক্ষিত শিক্ষক এবং আধুনিক পদ্ধতিতে পাঠদান দরকার। সে বিষয়ে চেষ্টা চলছে। অভিভাবকদেরও সচেতন হওয়া উচিত।
সর্বশেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২২, ২১:১১
পাঠকের মন্তব্য