মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার কুশিয়ারা নদীতে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বালুখোকো লিটন মিয়াকে আটক করেছে।
শনিবার দুপুর ২টায় উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর (ছরখারপাড়) এলাকায় এ অভিযান চালান রাজনগর সহকারি কমিশনার (ভূমি) তানজিদা আক্তার। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসনের তাৎক্ষনিক অভিযান কালে ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এমনটা দেখতে পায় প্রশাসন। তাৎক্ষনিক ড্রেজার ও ট্রলারের ৫ শ্রমিককে আটক করা হয়। পরে তাদের ছেড়ে দিয়ে বালুখেকো’র গডফাদার লিটন মিয়াকে খবর দিয়ে ঘটনাস্থলে আনতে বাধ্য করে প্রশাসন।
তাৎক্ষনিক ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে উত্তোলনকৃত ৬ হাজার ঘনফুট বালু জব্ধ করে ঘটনাস্থলে প্রকাশ্যে নিলাম দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
ঘটনাস্থলে থাকা রাজনগর সহকারি কমিশনার (ভূমি) তানজিদা আক্তার বলেন, কুশিয়ারা নদী পাড়ের আব্দুল্লাহপুর এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছে এমন খবর পায় প্রশাসন।
তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আমরা আটক করি। পরবর্তীতে মুলহোতা লিটন মিয়াকে সরেজমিনে এনে ১০দিনের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয় এবং ৬ হাজার ঘনফুট বালু জব্ধ করে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। আটকৃত ৫জনকে ছেড়ে দেয়া হলো কেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওই সহকারি কমিশনার বলেন, আটককৃতরা সাধারণ শ্রমিক হওয়াতে তাদের ছেড়ে দিয়ে মুলহোতাকে আমরা আটক করি। উল্যেখ্য, সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার শেরপুর এলাকার বাসিন্দা ও ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা পাওয়া লিটন মিয়া ওই এলাকার দুষ্ট লোকদের ছত্র ছাঁয়ায় দীঘদিন যাবৎ বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকা কামাই করে আসছিল। ওই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে নিরাপদে বালু উত্তোলন করতে পাশের জাহিদপুর গ্রামের নানু মিয়া’র মেয়েকে বিয়ে করে ওই লিটন মিয়া।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বেকামুড়া এলাকার মনাই মিয়া সম্প্রতি ওই লিটন মিয়াসহ জাহিদপুর গ্রামের আনোয়ার মিয়া, মোঃ সালাম মিয়া, নানু মিয়া,কবির মিয়া, নোমান মিয়া,সঞ্জয় দাশ, আমীর আলী, এলাইছ মিয়া ও ডাক্তার রহমান’র পুত্র নানু মিয়া’ন বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রাজনগ’র বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করনে। এসব বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় গণমাধ্যম এবং কয়েক টি টেলিভিশনে একাধিক প্রতিবেদন হয়। এতে টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের।
সর্বশেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২২, ২১:৪১
পাঠকের মন্তব্য