এম্বুলেন্স ড্রাইভারের প্রতারনায় বাবার মৃত্যু..প্রতিবাদ করায় ছেলেকে ছুড়িকাঘাত ।

বিশেষ প্রতিবেদক :

মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল জরুরী বিভাগের সামনে এম্বুলেন্সের ড্রাইভারের প্রতারনায় বাবার মৃত্যু হয় এর প্রতিবাদ করায় ছেলেকে ছুড়িকাঘাত করে  আহত করে এম্বুলেন্সের ড্রাইভারসহ গংরা।


মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সদর হাসপাতালে এ ঘটনাটি ঘটে।


এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে হুবহু তুলে ধরা হল  বাদী মোঃ শিপু মিয়া (৩০) (জখমী)পিতা-কামাল উদ্দিন আহমদ,সাং-কালেঙ্গা, থানা-কমলগঞ্জ, জেলা-মৌলভীবাজার । বিবাদী  ১। খালেদ মিয়া (৩৫) (এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার), পিতা-অজ্ঞাত, ২। সাদিক মিয়া (৫০), (এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার) পিতা-অজ্ঞাত, উভয় সাং-অজ্ঞাত, থানা ও জেলা-মৌলভীবাজার সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন। সাক্ষীঃ ১। শাহজাহান (২৮) (জখমী), পিতা-আউলিয়া মিয়া, ২। রাজিব আহমদ (২৮) (জখমী), পিতা-কামাল উদ্দিন, উভয় সাং-কালেঙ্গা, থানা-কমলগঞ্জ, জেলা-মৌলভীবাজার সহ আরো অনেকেই। ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ ইং ২৫/১০/২০২২ তারিখ সকাল অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থল মৌলভীবাজার পৌরসভাস্থ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল মৌলভীবাজার এর জরুরী বিভাগের সামনে রাস্তার উপর। বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী থানায় হাজির হইয়া বিবাদীদের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, বিবাদীগণ অত্যন্ত খারাপ, জুলুমবাজ, দাঙ্গাবাজ ও খারাপ প্রকৃতির লোক। ১নং সাক্ষী আমার চাচাতো ভাই এবং ২নং সাক্ষী আমার আপন ভাই। উপরোক্ত বিবাদীগণ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল মৌলভীবাজার প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার ও হেলপার হিসেবে নিয়োজিত থাকিয়া কাজ করিয়া আসিতেছেন। অদ্য ২৫/১০/২০২২খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ১০.১০ ঘটিকার সময় আমার বাবা হঠাৎ শ্বাস কষ্ট জনিত কারনে অসুস্থতাবোধ করায় আমার বাবাকে তাৎক্ষনিক চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল মৌলভীবাজার নিয়ে আছি। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়া আমার বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল সিলেট নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।

---

এক পর্যায়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল মৌলভীবাজার হইতে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল সিলেট চিকিৎসার জন্য ২নং সাক্ষীর মাধ্যমে ২নং বিবাদী সাদিক মিয়ার এ্যাম্বুলেন্স ঠিক করা হয়। আমার বাবাকে বিবাদী ২নং বিবাদী সাদিক মিয়া এ্যাম্বুলেন্সে তুলার পূর্বে তাহার এ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন আছে কিনা জিজ্ঞাসাবাদ করিলে বিবাদী সাদিক মিয়া অক্সিজেন আছে মর্মে জানায়। পরবর্তীতে আমার বাবাকে ২নং বিবাদী সাদিক মিয়ার এ্যাম্বুলেন্সে তুলার পর আমার বাবার শ্বাস কষ্টের সমস্যাটি বাড়িয়ে যাওয়া ২নং বিবাদী সাদিক মিয়াকে আমার বাবাকে অক্সিজেন লাগানোর জন্য বলি। তখন বিবাদী সাদিক মিয়া জানায় যে তাহার এ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন নাই। এক পর্যায়ে আমার বাবা অক্সিজেনের অভাবে ২নং বিবাদী সাদিক মিয়ার গাড়ির ভিতরে মারা যান। পরবর্তীতে উক্ত বিষয়ে ১নং বিবাদী খালেদ মিয়া এবং বিবাদী সাদিক মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে বিবাদীদ্বয় উত্তেজিত হইয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। আমি বিবাদীদ্বয়কে গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে ১নং বিবাদী খালেদ মিয়া ক্ষিপ্ত হইয়া তার হাতে থাকে ছুরি দিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে যাই মারিয়া আমার মাথার পিছনের মধ্যখানে ছিদ্র যুক্ত রক্তাক্ত জখম করে।

জখমী)পিতা-কামাল উদ্দিন

আমার ডাক চিৎকারে ১ ও ২নং সাক্ষী ঘটনাস্থলে আগাইয়া আসিলে ১নং বিবাদী খালেদ মিয়া, ২নং বিবাদী সাদিক মিয়াদ্বয় সাক্ষী শাহজাহান এবং রাজিব আহমদদ্বয়কে এলোপাপাথারী কিল ঘুষি লাথি মারিয়া তাহাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে লীলা ফুলা জখম করে। এক পর্যায়ে আমি সহ সাক্ষীদ্বয় আঘাত প্রাপ্ত হইয়া মাটিতে পরিয়া গেলে ১ ও ২নং বিবাদী সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীগণ এলোপাপাথারী কিল ঘুষি লাথি মারিয়া আমার পেট, বুক, মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে লীলা ফুলা জখম করে। পরবর্তীতে আমাদের প্রাণ রক্ষার জন্য ডাক চিৎকার করিলে আশেপাশে থাকা লোকজন ঘটনাস্থলে আগাইয়া আসিলে সকল বিবাদীগণ আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি হুমকি প্রদর্শন করিয়া ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়। এমনকি উক্ত বিষয়ে থানা পুলিশ কিংবা এলাকার লাকজনদের অবগত করিলে আমাদেরকে খুন করিয়া লাশ গুম করিবে মর্মে প্রকাশ্যে বলাবলি করিতেছে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনদের সহায়তায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল মৌলভীবাজার চিকিৎসা গ্রহন করাই। উক্ত বিষয় উপস্থিত লোকজনদের অবহিত করিয়া আমাদের চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকায় থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল । অতএব, মহোদয় উপরোক্ত বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করিলে আপনার মর্জি হয়।

মোঃ শিপু মিয়া

এ ব্যাপারে মডেল থানার ওসি তদন্ত রবিউল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় এখন র্পযন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

সর্বশেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২২, ২২:৫৫
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও