পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একটি গুরুত্বপূর্ণ উপনির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি দেশে আগাম সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করার জন্য তার দলের আহ্বানকে জোরদার করেছেন।
রবিবারের ভোটে সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের ৮টি আসনের মধ্যে ৭টি আসনে ইমরান খান প্রার্থী ছিলেন। এটিকে তার জনপ্রিয়তার ওপর একটি “গণভোট” বলে অভিহিত করা হয়েছে।
৭০ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ ৬টি আসনে জয়ী হয়েছেন এবং বাকি দুটিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের জোট সরকারের অন্যতম প্রধান অংশীদার পাকিস্তান পিপলস পার্টি জয়ী হয়।
এই বিজয় ইঙ্গিত দেয় যে ইমরান খান এবং তার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টি প্রায় ২২ কোটি জনসংখ্যার দক্ষিণ এশীয় দেশটিতে এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক শক্তি।
প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং জনপ্রিয় এই রাজনীতিবিদকে এপ্রিল মাসে শরীফের নেতৃত্বে বিরোধী জোটের দাবিকৃত সংসদীয় অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেশের অর্থনীতি ও বৈদেশিক নীতির অব্যবস্থাপনার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তিনি অভিযোগগুলো প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
ইমরান খান প্রমাণ ছাড়া অভিযোগ করেছেন যে শরীফ এবং পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সাথে যোগসাজশে যুক্তরাষ্ট্র অনাস্থা ভোটের আয়োজন করেছিল। ওয়াশিংটন এবং ইসলামাবাদ উভয়েই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শরীফের সরকার ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত হ্রাসসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে না পারায় জনসাধারণের ক্রমবর্ধমান চাপ এবং সমালোচনার মধ্যে রয়েছে।
জুনের মাঝামাঝি নজিরবিহীন বন্যা পাকিস্তানে আঘাত হানে। এর ফলে ৪০ লাখের বেশি মানুষ উদ্বাস্তু হয়। কর্মকর্তাদের ধারণা, বন্যার ফলে বহু বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার ফলে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট আরও ব্যাপক রূপ ধারণ করে।
সর্বশেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২২, ১৬:৪৭
পাঠকের মন্তব্য