জেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে মাত্র ৫দিন আগে সরে দাড়ালেন সদর উপজেলার ৪নং ওয়ার্ডের “উট পাখি ” প্রতীক এর প্রার্থী মোহাম্মদ মবশ্বির আহমদ। এনিয়ে মৌলভীবাজার শহর জুড়ে চলছে আলোচনা ও সমালচনার ঝড়। কত টাকার বিনিময়ে তিনি নিবার্চন থেকে সরে দাড়ালেন এমন প্রশ্ন জেলার সাধারন মানুষের মনে।
জেলা যুবলীগের সভাপতি পদ প্রার্থী মোহাম্মদ মবশ্বির আহমদ আসন্ন ১৭ অক্টোবর মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২২ইং এর নির্বাচনের জন্য সদস্য পদে নমিনেশন জমা দেন।
“উট পাখি ” প্রতীক নিয়ে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি । কিন্তু হঠাৎ ১৩ অক্টোবর বিকেলে গনমাধ্যমের সামনে এসে বলেন তিনি নির্বাচন করবেন না। কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মাননীয় সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক কামাল হোসেন মহোদয় এর বিশেষ অনুরোধে এবং দলের প্রতি সম্মান রেখেই সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো ঘোষণা দিচ্ছেন।
লোকমুখে সোনা জায় স্থানীয় নেতাকর্মী ও বিশেষ কিছু ব্যক্তির অনুরোধে ৪নং ওয়ার্ডের অপর প্রার্থী “টিউবওয়েল” প্রতিক এর প্রার্থী আতাউর রহমানকে সমর্থন জানিয়েছেন।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে কত টাকার বিনিময়ে মোহাম্মদ মবশ্বির আহমদ এর সমর্থন কিনলেন আতাউর রহমান ৬নং একাটুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান এখন লন্ডনে।
জেলার বিভিন্ন নেতা কর্মীরা বলেন দলের প্রতি সম্মান দেখিয়ে কোন লাভ নেই দল বেচে অনেকেই চলেন। মবশ্বির আহমদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করার আগে দলের প্রতি সম্মান কোথায় ছিলো। নির্বাচনে ওনার খরচ হয়েছে ৩০হাজার পেয়েছেন ৫লক্ষ,এটা সুদের ব্যাবসা থেকে আরো খারাপ। টাকা পকেটে যাবার পর নেত্রিবৃন্দের নাম ব্যবহার করে দলের প্রতি সম্মান দেখানো হচ্ছে।
আওয়ামীলীগের আরেক নেতা বলেন সংবাদ সম্মেলন করে মবশ্বির আহমদ সংসদ সদস্য নেছার আহমদ,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজবাউর রহমান,সদর উপজেলার চেয়ারম্যান কামাল হোসেন এই সব ভালো মানুষগুলোর নাম ব্যাবহার করেছেন । ওনারা কি কখনো কোন সাংবাদিক কে বলেছে যে আমাদের অনুরোধে মবশ্বির আহমদ নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন।
মোহাম্মদ মবশ্বির আহমদ এর ভোটাররা বলছেন “উট পাখি মার্কায় আমাদের কাছে এসে তিনি ভোট চেয়েছেন আমরা বলেছিলাম ওনাকে ভোট দিবো ।কিন্তু এখন তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালেন আমরা কাকে ভোট দেবো। ভোটারদের সাথে এমন প্রতারণা করার কি দরকার ছিল। গত ২০১৬ সালে জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি সদস্য পদে হেরে গিয়ে ভোটারদের উপর মামলা করে নির্বাচনের খরচ তোলেন।
জেলার সাধারন নাগকরিকরা মনে করেন অর্থলোভে প্রণোজিত হয়ে অযোগ্য প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে বিবেক খাটিয়ে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান ।
সর্বশেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২২, ২২:০৫
পাঠকের মন্তব্য