গত ১০ই অক্টোবর, ২০২২ইং তারিখে মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন তার বক্তৃতার এক পর্যায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান, তারেক রহমানকে সরাসরি অকথ্য, অশালীন ও অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন।
এই ধরনের অশালীন ভাষা কেবল নিচু স্তরের কোন লোকের মুখেই শোভা পায় বলে মন্তব্য করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান। তিনি বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে আহমদ হোসেনের মত এক অখ্যাত আওয়ামী নেতা এই ধরণের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করার চরম ধৃষ্টতা দেখে আমরা হতবাক হয়েছি।
এই দেশে চোর কে বা কারা সারা জাতি ইতোমধ্যেই খুব ভালো করেই জানেন। জেলা বিএনপির দলীয় প্যাডে জেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফখরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত লিখিত প্রতিবাদ লিপিতে এম নাসের রহমান উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার ঘোষক রনাঙ্গানের বীর সেনানী, সাবেক সেনা বাহিনী প্রধান, নির্বাচিত সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ও তিন-তিন বারের জনগনের ভোটে নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান বাংলাদেশে বৃহত্তম দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যে দলের বর্তমান জনসমর্থন বিনা তর্কে ৮০% এর উর্দ্ধে। ভবিষৎতে যিনি বাংলাদেশের অবধারিত প্রধানমন্ত্রী, তার বিরুদ্ধে শিষ্ঠাচার বর্হিভুত ভাষা ব্যবহার করে আহমদ হোসেনের মত এক অখ্যাত আওয়ামী নেতা নিজের দলের বাহবা কুড়ানো ছাড়া আর কিছুই লাভ করেন নাই।
তবে অদূর ভবিষ্যতে মানহানি মামলার যে উনি সম্মুখীন হবেন তা এক প্রকার নিশ্চিত। আগামীতে ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কায় কিছু আওয়ামী নেতা দিগি¦দিক জ্ঞানশূন্য বক্তৃতা-বিবৃতি দিচ্ছেন আজকাল। অবৈধভাবে বিনা ভোটে দখল করা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকারী দলের কিছু নেতা এইরুপ বাল্য সুলভ ও শিষ্ঠাচার বহির্ভূত বক্তব্য দিচ্ছেন নিজের দলের নেতা কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করার ব্যর্থ প্রয়াসে।
আহমদ হোসেনের এইরুপ শিষ্ঠাচার বহির্ভূত, অকথ্য ও অশালীন ভাষার জবাব খুব শীঘ্রই দেশের জনগন দিবে। বতমান সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর, যদি দেশে থাকেন, তখন কি বলবেন তিনি। তা বিএনপির কোটি কোটি সমর্থক ও দেশের জনগন দেখার অপেক্ষায় থাকবে।
সর্বশেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২২, ২৩:৪৯
পাঠকের মন্তব্য