ইসলাম, এরশাদ ও ছারছীনা দরবার

ইসলাম, এরশাদ ও ছারছীনা দরবার শরীফ এ যেন এক সুতায় গাঁথা। বাংলাদেশ ইসলামী কৃষ্টি কালচার ও সাংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় যে সকল মনিষিগন ও মুসলিম নেতারা অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে এরশাদ অন্যতম। ছারছীনা দরবারের পীরে কামেল আল্লামা শাহ্ আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ রহঃ এর একান্ত ভক্ত ও ধর্মীয় ব্যাপারে তার অনুগত ছিলেন এরশাদ।

সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বিশ্বের বুকে অন্যতম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বাংলাদেশর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হিসেবে ঘোষণা দেন। আর এই কথাটি সর্ব প্রথম তিনি বলেন, শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী ছারছীনা দরবার শরীফের ঈছালে ছাওয়াব মাহফিল স্ট্যাজে দাঁড়িয়ে।

ছারছীনা পীর মোজাদ্দেদে জামান হযরত মাওলানা শাহ সূফি আবু জাফর মুহাম্মদ সালেহ রহঃ এর সময়ে। শুধু তাই নয় তিনি ছারছীনা পীরের পরামর্শে মুসলমানদের জন্য ছুটির দিন হিসেবে শুক্রবারকে বেঁছে নেন রবিবারকে বাদ দিয়ে। তিনি স্কুল পড়ুয়া ছাত্রদেরকে দ্বীন ইসলাম শিক্ষার ব্যবস্থা করে দেন, “ইসলাম শিক্ষা” নামে পাঠ্যবই তালিকায় সংযুক্ত করে। তিনি প্রথম মুসলমানদের পবিত্র স্থান মসজিদের বিদ্যুত বিল মওকুফ করার প্রদক্ষেপ গ্রহন করেন। এছাড়াও আরো নানা ইসলামিক কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িত রাখেন। তিনি অনেক মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন এবং সহযোগিতা করেন। তিনি হক্কানী আলেম ওলামাদের শ্রদ্ধা করতেন এবং করেন।
তার মৃত্যুতে ছারছীনা দরবার শরীফের পীর সাহেব আলহাজ্ব মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ এক মহান নেতাকে হারিয়েছে। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।

তিনি আরো বলেন এরশাদ রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ছারছীনা দরবারের মাহফিল থেকে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম ঘোষণা করে কোটি কোটি মুসলিম তৌহিদী জনতার হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। এছাড়াও তিনি সংবিধানে বিসমিল্লাহ, ছুটির দিন শুক্রবার, ইবতেদায়ী মাদ্রাসার স্বীকৃতি প্রদান সহ ইসলাম ধর্মের জন্য অনেক অবদান রেখেছেন তিনি।
ছারছীনা দরবার ও এরশাদের সাথে ছিলো গভীর সম্পর্ক।

এ ছাড়া ছারছীনা পীর মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

সর্বশেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৯, ১৩:৫৭
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও