মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় একটি ডেবে যাওয়া সেতু ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক দিয়ে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এলাকাবাসীর আশঙ্কা যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার লক্ষীপুর-হাসিমপুর সড়কে ফানাই নদীর উপর ৬০ ফুট দীর্ঘ এ সেতু নির্মান করা হয়। প্রায় এক বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পের আওতায় নদী পুনঃখনন করা হয়েছিল। সেই সময় পাহাড়ি ঢলের তোড়ে সেতুটি দেবে যায়। এ অবস্থায় সেতুসহ ওই সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন ও লোকজন চলাচল করছেন।
এলাকাবাসী জানান, ওই সেতু দিয়ে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের পুরশাই, ভাতগাঁও, দেওগাঁও, কর্মধার হাসিমপুর এবং রাউৎগাঁওয়ের নর্তন, কবিরাজী ও পালগ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন। এ ছাড়া এলাকার শিক্ষার্থীরা সেতুর পূর্ব পাশে অবস্থিত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করেন।স্থানীয়রা জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে পাউবো প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীটির ৪০ কিলোমিটার খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে পুনঃখনন করে। কাজ সম্পন্নের আগেই অতিবৃষ্টিতে উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামে। তখন সেতুর মধ্যবর্তী স্থান দেবে যায়। একই সময় সেতুর পূর্ব পাশের বাঁধে রাঙ্গিছড়া-লক্ষীপুর-গুতগুতি সড়কের একশত ফুট জায়গা ধসে পড়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ফানাই নদী পুনঃখননের সময় সেতু ও রাস্তার সর্বনাশ হয়েছে। সেতুর মাঝখানের খুঁটির কাছ থেকে এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কাটা হয়। এরপর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদী ভরে গিয়ে খুঁটি কাত হয়ে সেতু দেবে যায়। এলাকাবাসীর দ্রুত সেতুটির সংস্কারের দাবি জানান।
এলজিইডির মৌলভীবাজার জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী আজীম উদ্দীন সরদার জানান, ওই স্থানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে।
সর্বশেষ আপডেট: ১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:০৯
পাঠকের মন্তব্য