মৌলভীবাজারে ভিবিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে চলছে অবৈধভাবে মানি এক্সচেঞ্জ এর ব্যবসা। সরকার অনুমোদিত একমাত্র বৈদেশিক মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী সৈয়দ মানি এক্সচেঞ্জ সরকার কে রাজস্ব দিতে খাচ্ছে হিমশিম। আর প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে। এমন অভিযোগ সরকার অনুমোদিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের।
মৌলভীবাজার শহরের বেড়ির পাড় এলাকায় অবস্থীত সোনালী ব্যাংক বৈদেশিক শাখার নিচ তলায় ও আশপাশের এলাকায় গড়ে উঠেছে অবৈধ বৈদেশিক মানি এক্সচেঞ্জ। সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে দোকানের স্যাটার বন্ধ না করে সটকে পড়েন ব্যবসায়ীরা ।
প্রবাসী অধ্যুষিত মৌলভীবাজারে অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ ও হুন্ডি ব্যবসা জমে উঠেছে মৌলভীবাজার শহর জুড়ে। সরকার অনুমোদিত মাত্র একটি বৈদেশীক মানি এক্সচেঞ্জ থাকলেও পুরো শহর জুড়ে অন্য ব্যবসার আঁড়ালে ব্যাংঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা।
ডাক্তারের চেম্বার, মোবাইল,টাইলসের দোকান, কাপড় ও প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসার আঁড়ালে অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা এবং বিদেশে টাকা পাচারের শক্তিশালী সিন্ডেকেট।
সাম্প্রতি একটি গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে বিদেশে টাকা পাচারকারী প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তির নাম মানুষের মুখে মুখে আলোচিত হচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকেই ইতিমধ্যে গাঁ ঢাকা দিয়ে আত্মগোপন করেছেন আর কয়েকজন ইতিমধ্যে ব্যবসা ছেড়ে পালিয়েছেন।
প্রবাসী অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলার বহু লোক লন্ডন, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে টাকা পাঠান। ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা আসতে দেরি হওয়াসহ নানা ঝামেলা এড়াতে ঘরে বসে প্রবাসীদের পাঠানো টাকা দ্রুত পেতে হুন্ডি ব্যবসায়ীদের শরনাপন্ন হয়ে থাকেন।
তবে সরকার অনুমোদিত একমাত্র বৈদেশিক মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী সৈয়দ মানি এক্সচেঞ্জ এর মালিক সৈয়দ ফয়ছল আহমদ বলেন ব্যাংঙের ছাতার মত গড়ে ওঠা অবৈধ ব্যাবসার কারনে সরকার কে ঠিক মত রাজস্ব দিতে পারছিনা। প্রশাসন যদি অবৈধ ব্যাবসার দিকে নজর না দেয় তাহলে অবৈধ ব্যাবসায়ীরা রিতিমত ব্যবসা করবে কিন্তু সরকার রাজস্ব পাবেনা আর বৈধ ব্যবসায়ী হিসেবে আমিও কোণঠাসা হচ্ছি আগামীতে আরো হবো।
সোনালী ব্যাংক মৌলভীবাজার বৈদেশিক শাখার অফিসার রাসেল আহমদ বলেন মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মধ্যে সরকার অনুমোদিত বৈদেশিক মানি এক্সচেঞ্জ হলো সৈয়দ মানি এক্সচেঞ্জ,তারাই বৈধ ভাবে ব্যাবসা করছে । আর অবৈধ ভাবে কেউ ব্যাবসা করছে কিনা আমার জানা নেই। তবে লোক মুখে শুনেছি এখানে অবৈধ ভাবে অনেকে ভিবিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে অবৈধভাবে মানি এক্সচেঞ্জ এর ব্যবসা করছে। অবৈধ ভাবে ব্যবসা করলে সরকার এখান থেকে অনেক রাজস্ব হারাচ্ছে।
এদিকে মৌলভীবাজার সদর সার্কেল জিয়াউর রহমান বলেন লাইন্সেস দেওয়া বা না দেওয়া আমাদের কাজ না, মানি লন্ডারিং করে বিদেশে টাকা পাচারকারি ও অবৈধ হুন্ডি ব্যবসার অভিযোগ কারো বিরুদ্ধে পেলে ও সুনিদৃষ্ট তর্থ্য প্রমান পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরকারের তালিকাভূক্ত অবৈধ ব্যবসায়ী ও বিদেশে টাকা পাচারকারিদের বিরুদ্ধে সরকার খুব শীর্ঘই ব্যাবস্থা নিবে এমনটাই আশা করছেন জেলা বাসী।
সর্বশেষ আপডেট: ৬ আগস্ট ২০২২, ১৮:১৯
পাঠকের মন্তব্য