মৌলভীবাজারের শেরপুর এলাকায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে দেখা দিয়েছে বিশাল ভাঙন। বুধবার (২২ জুন) বিকালে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের হামরকোনা নামক স্থানে এই ভাঙন দেখা যায়। এরপর থেকে ভাঙন দিয়ে প্রবল বেগে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবেশ করছে। স্থানটি সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মিলনস্থল হওয়ায় বানের পানি খলিলপুর ইউনিয়ন হয়ে দ্রুত চলে যাচ্ছে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জে।
মৌলভীবাজার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়া উদ্দিন এ বিষয়ে জানান, শেরপুর এলাকায় অনেক স্থানে কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ভেঙ্গে এবং ওভার ফ্লো করে খলিলপুর ইউনিয়নে সিলেট-ঢাকা পুরাতন সড়কের ভেতরে পানি জমে ছিলো। এই পানির বেগে বুধবার বিকালে খলিলপুর ইউনিয়নের হামরকোনা নামক স্থানে ওই মহাসড়কে ভাঙন দেখা দেয়। পরে পানির প্রবল তোড়ে তা বেড়ে এখন অনমশত ৬০ ফুট বিস্তৃত হয়েছে। তিনি আরও জানান, ভাঙন বেড়ে না যাওয়ার জন্য সড়ক বিভাগের লোকজন চটের বস্তায় মাটি ভরে ভাঙনের দুই পাশে দিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, ইতোমধ্যে সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম, শেরপুর মুক্তিনগর (নতুনবস্তি), হামরকোণা গ্রামের কুশিয়ারা নদী তীররক্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে স্থানীয় শেরপুর বাজারসহ ঐ এলাকার চারটি গ্রামের অন্তত হাজার খানেক পরিবার পানিবন্দী রয়েছেন। বাদ যায়নি মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঐ এলাকার বিভিন্ন স্থানে নির্মাণাধীন ঘরবাড়ি।
হাওরের পানি বেড়ে বহু পরিবার শেরপুর আজাদ বখত উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, শামসুন্নাহার বিদ্যাপীঠসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে অবস্থান করছেন। মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা রহমান বাঁধন জানান, শেরপুর এলাকায় সড়ক বিভাগের পুরাতন রাস্তা ভেঙ্গে কুশিয়ারা নদীর পানি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দিকে যাচ্ছে। অপরদিকে, হাইল হাওরের পানি বেড়ে আমতৈল, কনকপুর, খলিলপুর ইউনিয়নের অনেক এলাকা হচ্ছে প্লাবিত।
সর্বশেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২২, ২৩:৪৯
পাঠকের মন্তব্য