ভারতে মহানবী (সা.) নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদ এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে আজ ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল পূর্ব বিক্ষোভ সমাবেশে দলের আমির ও হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা শাহ আতাউল্লাহ বলেছেন, আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেন, আমি নবী (সা.) কে দুনিয়ায় রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছি।
যারা নবীর শানে বেয়াদবি করবে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। ভারতে মুসলমানদের ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। নবীর দুশমনদের শাস্তি না দেয়ার কারণে মোদি সরকার তছনছ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ভারতে নবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ইহুদীরা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
কিন্ত আমাদের সরকার এখনো কোনো প্রতিবাদ না করায় মুসলমানরা বিস্মিত। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, নবী (সা.) শানে বেয়াদবির প্রতিবাদে অবিলম্বে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনুন। আল্লাহ আপনার মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন। আজ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের উদ্যোগে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারক লিপি প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য রাখছিলেন দলের আমির।
মুফতি সুলতান মহিউদ্দিনের পরিচালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, দলের নায়েবে আমির ও মহানগরী আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, দলের শীর্ষ নেতা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আমির আলহাজ আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, মাওলানা ইকরামমুল হক পীর সাহেব উজানী, যুগ্ম মহাসচিব হাজী জালাল উদ্দিন বকুল, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, মুফতি জসিম উদ্দিন, মুফতি ইলিয়াস মাদারীপুরী, কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতি আকরাম হোসেন, উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হান্নান আল হাদী, মুফতি মাহমুদুর রহমান,. মাওলানা আক্তারুজ্জামান, মাওলানা শেখ সাদী, মাওলানা আশরাফ উদ্দিন,মাওলানা রফিকুল ইসলাম বিন নূরী, মুফতি মো. ইউসুফ ও মাওলানা আক্তারুজ্জামান সাজেদী।
পরে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে আল্লামা শাহ আতাউল্লাহর নেতৃত্বে গণমিছিল শুরু হলে পুরানা পল্টন মোড়ে পুলিশী বাধার মুখে মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত হয়। একটি প্রতিনিধি দলে স্মারকলিপি নিয়ে ভারতীয় দূতাবাসের দিকে যাত্রা করেন।
সর্বশেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২২, ১৫:২৩
পাঠকের মন্তব্য