গ্রামবাসী রাত জেগে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা

মুক্তিবাণী অনলাইন ডেস্ক :

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় রোববার বিকাল ৫টা থেকে আকস্মিকভাবে দ্রুত গতিতে পাহাড়ি ঢলের কারণে ধলাই নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। 

রাতেই আতঙ্কিত গ্রামবাসী উপজেলার প্রতিরক্ষা বাঁধের কয়েকটি স্থানে স্বেচ্ছাশ্রমে গাছ ও মাটিভর্তি বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করেন।

এলাকার বাসিন্দারা নির্ঘুম রাত আতিবাহিত করেন। এছাড়া ওই রাতেই পতনঊষার ইউনিয়নে লাঘাটা নদীর ঘোপীনগরে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে ২টি গ্রামের ৩০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

রাতেই উপজেলার পরিষদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ও সোমবার সকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোমাইয়া আক্তার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেন।

জানা যায়, উপজেলার পতনচঊষার ইউনিয়নের লাঘাটা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে রাতে ঘোপীনগর এলাকায় বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে কান্দিগাঁও ও রাধাগোবিন্দপুর এলাকায়।

এতে শমশেরনগর, পতনঊষারের কেওলার হাওর ও মুন্সীবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে দুই শতাধিকেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পরে। ঢলের পানিতে কিছু আউশ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এতে ২টি গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার  প্রায় দুইশত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

কান্দিগাঁও এলাকার পানিবন্দি আব্দুল মন্নান, হাসিনা বেগম জানান, গতকাল রাতে লাঘাটা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে হঠাৎ প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে পানি চলে আসে আমাদের বাড়িঘর ও রাস্তা ঘাটে। রাতে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করেও ভাঙ্গন ঠেকাতে পারিনি।

ধলাই নদীর কমলগঞ্জ পৌর এলাকার দক্ষিণ কুমড়া কাপন গ্রামের কাউন্সিলার রফিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে, উত্তর কুমড়া কাপন গ্রামের এডভোকেট এএসএম আজাদুর রহমানের বাড়ির সামনে, রামপাশা গ্রামের সৈয়দ বাড়ির সামনে, গোপালনগর, করিমপুর ও আলেপুর, মাধবপুর ইউনিয়নের হিরামতি এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধ অতি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

রাতেই মাধবপুর ইউনিয়নের হিরামতি এলাকার বাঁধ এলাকা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দীন, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাম ভজন কৈরী, মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার সাকিবুল হাসান, মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আসিদ আলী বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেন।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দীন বলেন, বন্যার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যে উপজেলায় ৮টি অস্থায়ী বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। লাঘাটার ভাঙনে পানিবন্দিদের নামের তালিকা তৈরি করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। তাদের দ্রুত ত্রাণ দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা ধলাই নদীর দিকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি।

সর্বশেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২২, ২২:৫৬
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও