রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু খান ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে জয়লাভ, ভাইয়ের মাদক ব্যবসা, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যাবহার করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মামলা দিয়ে হয়রানি করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপি’র সদস্য টেংরা ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম আহমেদ ও টেংরা বাজারের ব্যবসায়ী জিল্লু আহমেদ ৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার দুপুরে রাজনগর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।
অভিযোগে আরে বলেন টিপু খানের পিতা ছিলেন পাকিস্তান আমলে পিস কমিটির সদস্য। টেংরা ইউনিয়নে একটি মাত্র রাজাকার পরিবার চেয়ারম্যান টিপু খানের। টিপু খানের পিতার উপর থেকে রাজাকার নাম মুছে ফেরার জন্য আওয়ামীলীগে যোগ দেন।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, টেংরা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু খানের ভাই সায়েদ খান ও দিপু খান তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী মামলা হয়েছে বলেও তারা উল্লেখ করেন। নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকে দিপু খান বাজারে অস্ত্র উচিয়ে গুলি করেছে। এছাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত রয়েছে। চেয়ারম্যান মামলা দিয়ে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছেন। সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে তিনি একই কায়দায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে সেলিম আহমদ বলেন,৭ জানুয়ারি টিপু খান আমাকে ফোনে জানান তার ভাইয়ের সাথে কয়েকজনের জামেলা হয়েছে। বিষয়টি আমি সমাধান করতে কুলাউড়া থেকে টেংরা বাজারে আসি। এসময় দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি ও তার বাসায় ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলায় আমাকে ফাঁসাতে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে জড়ানো হয়েছে। যারা হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেনি। পরে বাজারে মানববন্ধন করে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে টিপু খানের ভাই সায়েদ খান ও তার অনুসারীরা বক্তব্য দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আরজান খান আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও টেংরাবাজার বনিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রব, কাতার প্রবাসী জগলু চৌধুরী প্রমুখ।
সর্বশেষ আপডেট: ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ১৪:৩৬
পাঠকের মন্তব্য