দেড় বছর পর কাল প্রিয় ক্যাম্পাসে ফিরছে শিক্ষার্থীরা

মুক্তিবাণী অনলাইন ডেস্ক :

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর কাল রোববার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে প্রায় দেড়বছর ধরে বন্ধ থাকার পর আগামীকাল খুলছে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এজন্য বৃহস্পতিবারের মধ্যে সকল স্কুল কলেজ মাদরাসাকে পাঠদান উপযোগী করার নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাঅধিদপ্তর। নির্দেশনা মেনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শেষ করা হয়েছে ধোয়ামোছা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। তবে অনেক প্রতিষ্ঠানই নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে পারেনি প্রস্তুতি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্যদের ক্লাস অনলাইন নির্ভরই থাকছে। তাদের সপ্তাহে একদিন সশরীরে ক্লাসে আসতে হবে।

গত বছরের মার্চে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মাঝে কয়েকবার খুলে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হলেও তা আর কার্যকর হয়নি। গত ১১ আগস্ট থেকে উঠে গেছে লকডাউন। ১৯ আগষ্ট থেকে বিনোদন কেন্দ্রগুলোও খুলে দেয়া হয়েছে। এরপর শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সব কিছুই খোলা রয়েছে।

গত ২৬ আগস্ট সবশেষ ঘোষণায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও এক দফা বাড়িয়ে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়। ওইদিন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি বলেছিলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেশি বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। স্কুল-কলেজ ও শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের চাপ রয়েছে, খুললেও করোনা আক্রান্তের আশংকা রয়েছে। সব মিলিয়ে আক্রান্তের হার ১০ শতাংশের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চাই। এ দিকে দিন দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জোরালো হচ্ছিল। ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকসহ সর্বমহল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানানো হচ্ছিল। ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি চাঁদপুরে এক অনুষ্ঠানে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণা দেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। ওই দিনই ১৯ দফা নিদেশনা জারি করা হয়। গতকাল শুক্রবার প্রাথমিকের জন্য ১৬ দফা নিদের্শনা জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষাঅধিদপ্তর, প্রকাশ করেছে ক্লাস রুটিন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন পর ক্লাসরুমে ফিরতে উদগ্রিব হয়ে আছে তারা। এজন্য ইতোমধ্যে জামাকাপড় তৈরি, বই খাতাপত্রসহ অন্যান্য উপকরণ কেনাকাটাও শেষ তাদের। এখন অপেক্ষা বন্ধুদের সঙ্গে দীর্ঘদিন পর দেখা হবে। রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত সব পরিবারে একই চিত্র। যেসব পরিবারের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করেন, প্রতিটি পরিবারে চলছে স্কুল কলেজ মাদরাসার ক্লাসে যাওয়ার উৎসবের আমেজ। শিক্ষার্থীদের এই আমেজে বাবামাসহ পরিবারের বড় সদস্যরাও শরীক হচ্ছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে এতে শিক্ষকরাও দারুণ খুশি।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণার পর থেকেই ক্লাসরুম পাঠদান উপযোগী করতে কাজ শুরু করেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও শিক্ষামন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয় ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে। নির্দেশনা অনুযায়ী বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই সেরেছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ, কেটে ফেলা হয়েছে খেলার মাঠের ঘাস, ধোয়ামোছা শেষ -ক্লাসরুম, চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ। কোন কোন স্কুলে ছিটানো হয়েছে জীবণুনাশক ওষুধও।

দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর পর ক্লাস শুরু হওয়ায় কোন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে আয়োজন করেছে নানা প্রস্তুতি। আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে ছাত্রীদের ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। ভিকারুননিসার একাধিক শিক্ষক জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর আবারও ক্লাসে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ক্লাসের শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে তারা কিছু পরিকল্পনার কথা ভাবছেন। ক্লাসের প্রথম দিন আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বরণ করে নেবেন তারা।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুন্নাহার বলেন, শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা বরণ করতে চাই। তিনি বলেন, ছাত্রীরা গেটের ভেতরে প্রবেশ করার সময় প্রত্যেকের হাতে একটি করে ফুল দেওয়ার চিন্তাভাবনা থাকলেও এতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না বলে সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে। শিক্ষকরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গেটের সামনে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভেতরে প্রবেশ করাবেন। এরপর নিয়মমাফিক পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।

প্রাথমিকের ১৬ নির্দেশনা: স্কুল খোলার পর কীভাবে চলবে এ সংক্রান্ত ১৬ দফা নির্দেশনা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। গতকাল শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষাঅধিদফতর থেকে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়। নির্দেশনাগুলো হলো-

দৈনিক সমাবেশ বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে নিরাপদ দূরত্ব রেখে নিজেদের আসনে বসে হালকা শারীরিক কসরৎ (পিটি) করবে। কেউ প্রয়োজন মনে করলে পিটি করা থেকে বিরত থাকতে পারবে।শিক্ষার্থীরা জিগজ্যাগ তথা জেড বিন্যাসে বসবে। প্রতি বেঞ্চে একজনের বেশি বসবে না। শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে একই শ্রেণিকে একাধিক গ্রুপে ভাগ করে একাধিক কক্ষ ও শিক্ষকের সহায়তায় পাঠদান চালাতে হবে।

পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণি কার্যযক্রম বন্ধ থাকবে।পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম সপ্তাহের ছয় দিন চলবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন আসবে।একই দিনে একই সময়ে সর্বোচ্চ দুটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসার ব্যবস্থা রেখে টিফিন বিরতি ছাড়া শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। সর্বোচ্চ ৩ ঘণ্টার মধ্যে শ্রেণি কার্যক্রম শেষ করতে হবে।

শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় রেখে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে একাধিক শিফট কিংবা সপ্তাহের একেক দিন একেক শ্রেণির বা সর্বোচ্চ দুটি শ্রেণির পাঠদানের ব্যবস্থা রেখে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হালনাগাদ পাঠ্যসূচি অনুসরণ করবে। তবে বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব হলে, প্রাথমিক শিক্ষাঅধিদফতরের অনুমতি নিয়ে পাঠদান পরিকল্পনা নেওয়া যাবে।

শ্রেণি কার্যক্রমে গ্রুপ ওয়ার্ক ও পেয়ার ওয়ার্কের মতো সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টিকারী শিখন কাজ আপতত বাদ রাখতে হবে।

শিক্ষকরা মাস্ক পরে ক্লাস নেবেন। শিক্ষার্থীদেরও মাস্ক পরা নিশ্চিত করবেন তিনি।

ক্লাস শেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারিবদ্ধভাবে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় ত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে। সব শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের একত্রে শ্রেণিকক্ষ ত্যাগ করতে দেওয়া যাবে না। শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে একের পর এক কক্ষের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় ত্যাগ করবে।একাধিক শিফটে ক্লাস চললে, আগের শিফট ও পরের শিফটের ক্লাস শুরুর মাঝে অন্তত ৩০ মিনিটের বিরতি রাখতে হবে।শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ পানির বোতল নিয়ে বিদ্যালয়ে আসবে।

শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পাশাপাশি ঘরে বসে শিখি, বাংলাদেশ বেতার ও সংসদ টেলিভিশনে পাঠদান কার্যক্রম, গুগল মিটের মাধ্যমে অনলাইন পাঠদান কার্যক্রম ক্লাস রুটিনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অব্যাহত রাখতে হবে।কোনো শিক্ষার্থী নিজে বা পরিবারের সদস্যদের করোনার লক্ষণ দেখা দিলে বা আক্রান্ত হলে বিদ্যালয়ে আসতে পারবে না। তারা ঘরে বসে শিখি ও অনলাইন পাঠদানে অংশ নেবে। একই কারণে ওই শিক্ষার্থীকে ক্লাসে অনুপস্থিত গণ্য করা যাবে না।

প্রাথমিকের ক্লাস রুটিন: প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে প্রথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাশ শুরু হবে। ক্লাসে প্রথম ১০ মিনিট কোভিড-১৯ সচেতনতা বিষয়ে অবহিত করবেন শ্রেণি শিক্ষক। এরপর ৯টা ৪০ মিনিটে পাঠদান শুরু হবে। পাঁচ মিনিট পরপর পর্যায়ক্রমে দিনে তিনটি বিষয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। সর্বোচ্চ দুইটি শ্রেণির পাঠদান অনুষ্ঠিত হবে প্রতিদিন। শ্রেণি কার্যক্রম চলবে প্রতিদিন তিন ঘণ্টা। দিনের শ্রেণি কার্যক্রম শেষ হবে প্রতিদিন বেলা ১২টা ৫ মিনিটে।

১২ সেপ্টেম্বর প্রথম দিন রবিবার পঞ্চম শ্রেণির গণিত ক্লাস ৯টা ৪০ মিনিটে শুরু হবে। তার আগে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত কোভিড-১৯ সচেতনতা বিষয়ে অবগিত করবেন শ্রেণি শিক্ষক। গণিত ক্লাস ১০টা ২৫ মিনিটে শেষ হবে। পাঁচ মিনিট পর পঞ্চম শ্রেণির বাংলা ক্লাস সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে চলবে সকাল সোয়া ১১টা পর্যন্ত। পাঁচ মিনিট পর দিনের শেষ ক্লাস ১১টা ২০ মিনিটে শুরু হয়ে চলবে ১২টা ৫ মিনিট পর্যন্ত। এ দিন তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে হবে।

প্রাথমিকের শ্রেণি পাঠদানের রুটিন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে প্রাথমিক শিক্ষাঅধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) নিশ্চিত করেছেন।শনিবার: এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০ মিনিট ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত কোভিড-১৯ সচেতনতা বিষয়ে অবহিত করবেন শ্রেণি শিক্ষক। তারপর সকাল ৯টা ৪০ মিনিট থেকে মূল পাঠদান শুরু হবে। পঞ্চম ও চতুর্থ শ্রেণির তিনটি বিষয়ের পাঠদান অনুষ্ঠিত হবে এ দিন।

সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কোভিড-১৯ সচেতনতা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ১০ মিনিট অবহিত করার পর পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের পাঠদান শুরু হবে ৯টা ৪০ মিনিটে, শেষ হবে ১০টা ২৫ মিনিটে। পাঁচ মিনিট পর সাড়ে ১০টায় গণিত বিষয়ের ক্লাস শুরু হবে, শেষ হবে ১১টা ১৫ মিনিটে। আবার ৫ মিনিট পর ইংরেজি বিষয়ের পাঠদান ১১টা ২০ মিনিটে শুরু হয়ে শেষ হবে বেলা ১২টা ৫ মিনিটে।

একইভাবে একই সময়ে শনিবার চতুর্থ শেণির পর্যায়ক্রমে গণিত, ইংরেজি ও বাংলা বিষয়ের পাঠদান অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কোভিড-১৯ সচেতনতা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ১০ মিনিট অবহিত করবেন শ্রেণি শিক্ষক। এরপর গণিত বিষয়ের মূল পাঠদান শুরু হবে ৯টা ৪০ মিনিটে, শেষ হবে ১০টা ২৫ মিনিটে। পাঁচ মিনিট পর চতুর্থ শ্রেণির ইংরেজি বিষয়ের পাঠদান শুরু হবে সাড়ে ১০টায়, শেষ হবে ১১টা ১৫ মিনটে। পাঁচ মিনিট পর চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বিষয়ের পাঠদান শুরু হবে ১১টা ২০ মিনিটে, শেষ হবে ১২টা ৫ মিনিটে।

রবিবার: সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০ মিনিট ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত কোভিড-১৯ সচেতনতা বিষয়ে অবহিত করবেন শ্রেণি শিক্ষক। তারপর সকাল ৯টা ৪০ মিনিট থেকে মূল পাঠদান শুরু হবে। এ দিন পঞ্চম ও তৃতীয় শ্রেণির তিনটি বিষয়ের পাঠদান অনুষ্ঠিত হবে।সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কোভিড-১৯ সচেতনতা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ১০ মিনিট অবহিত করার পর পঞ্চম শ্রেণির গণিত বিষয়ের পাঠদান শুরু হবে ৯টা ৪০ মিনিটে, শেষ হবে ১০টা ২৫ মিনিটে। পাঁচ মিনিট পর সাড়ে ১০টায় বাংলা বিষয়ের পাঠদান শুরু হবে, শেষ হবে ১১টা ১৫ মিনিটে। আবার ৫ মিনিট পর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পাঠদান ১১টা ২০ মিনিটে শুরু হয়ে শেষ হবে বেলা ১২টা ৫ মিনিটে।

একইভাবে একই সময়ে রবিবার তৃতীয় শ্রেণির পর্যায়ক্রমে বাংলা, গণিত ও ইংরেজি বিষয়ের পাঠদান অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কোভিড-১৯ সচেতনতা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ১০ মিনিট অবহিত করবেন শ্রেণি শিক্ষক। এরপর বাংলা বিষয়ের মূল পাঠদান শুরু হবে ৯টা ৪০ মিনিটে, শেষ হবে ১০টা ২৫ মিনিটে। পাঁচ মিনিট পর তৃতীয় শ্রেণির গণিত বিষয়ের পাঠদান শুরু হবে সাড়ে ১০টায়, শেষ হবে ১১টা ১৫ মিনটে। পাঁচ মিনিট পর তৃতীয় শ্রেণির ইংরেজি বিষয়ের পাঠদান শুরু হবে ১১টা ২০ মিনিটে, শেষ হবে ১২টা ৫ মিনিটে।সোমবার: সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০ মিনিট ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত কোভিড-১৯ সচেতনতা বিষয়ে অবহিত করবেন শ্রেণি শিক্ষক। তারপর সকাল ৯টা ৪০ মিনিট থেকে মূল পাঠদান শুরু হবে। এ দিন পঞ্চম ও দ্বিতীয় শ্রেণির তিনটি বিষয়ের পাঠদান অনুষ্ঠিত হবে।

সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কোভিড-১৯ সচেতনতা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ১০ মিনিট অবহিত করার পর পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি বিষয়ের পাঠদান শুরু হবে ৯টা ৪০ মিনিটে, শেষ হবে ১০টা ২৫ মিনিটে। পাঁচ মিনিট পর সাড়ে ১০টায় বাংলা বিষয়ের পাঠদান শুরু হবে, শেষ হবে ১১টা ১৫ মিনিটে। আবার ৫ মিনিট পর গণিত বিষয়ের পাঠদান ১১টা ২০ মিনিটে শুরু হয়ে শেষ হবে বেলা ১২টা ৫ মিনিটে।একইভাবে একই সময়ে সোমবার দ্বিতীয় শ্রেণির পর্যায়ক্রমে বাংলা, গণিত ও ইংরেজি বিষয়ের পাঠদান অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কোভিড-১৯ সচেতনতা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ১০ মিনিট অবহিত করবেন শ্রেণি শিক্ষক। এরপর বাংলা বিষয়ের মূল পাঠদান শুরু হবে ৯টা ৪০ মিনিটে, শেষ হবে ১০টা ২৫ মিনিটে। পাঁচ মিনিট পর দ্বিতীয় শ্রেণির গণিত বিষয়ের পাঠদান শুরু হবে সাড়ে ১০টায়, শেষ হবে ১১টা ১৫ মিনটে। পাঁচ মিনিট পর দ্বিতীয় শ্রেণির ইংরেজি বিষয়ের পাঠদান শুরু হবে ১১টা ২০ মিনিটে, শেষ হবে ১২টা ৫ মিনিটে।

মঙ্গলবার: সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০ মিনিট ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত কোভিড-১৯ সচেতনতা বিষয়ে অবহিত করবেন শ্রেণি শিক্ষক। তারপর সকাল ৯টা ৪০ মিনিট থেকে মূল পাঠদান শুরু হবে। এদিন পঞ্চম ও প্রথম শ্রেণির তিনটি বিষয়ের পাঠদান অনুষ্ঠিত হবে।সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কোভিড-১৯ সচেতনতা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ১০ মিনিট অবহিত করার পর পঞ্চম শ্রেণির গণিত বিষয়ের পাঠদান  শুরু হবে ৯টা ৪০ মিনিটে, শেষ হবে ১০টা ২৫ মিনিটে। পাঁচ মিনিট পর সাড়ে ১০টায় বাংলা বিষয়ের পাঠদান শুরু হবে, শেষ হবে ১১টা ১৫ মিনিটে। আবার ৫ মিনিট পর প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ের পাঠদান ১১টা ২০ মিনিটে শুরু হয়ে শেষ হবে বেলা ১২টা ৫ মিনিটে।

একইভাবে একই সময়ে মঙ্গলবার প্রথম শ্রেণির পর্যায়ক্রমে বাংলা, গণিত ও ইংরেজি বিষয়ের পাঠদান অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কোভিড-১৯ সচেতনতা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ১০ মিনিট অবহিত করবেন প্রথম শ্রেণি শিক্ষক। এরপর বাংলা বিষয়ের মূল পাঠদান শুরু হবে ৯টা ৪০ মিনিটে, শেষ হবে ১০টা ২৫ মিনিটে। পাঁচ মিনিট পর প্রথম শ্রেণির গণিত বিষয়ের পাঠদান শুরু হবে সাড়ে ১০টায়, শেষ হবে ১১টা ১৫ মিনিটে। পাঁচ মিনিট পর প্রথম শ্রেণির ইংরেজি বিষয়ের পাঠদান শুরু হবে ১১টা ২০ মিনিটে, শেষ হবে ১২টা ৫ মিনিটে।

বুধবার: সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০ মিনিট ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত কোভিড-১৯ সচেতনতা বিষয়ে অবহিত করবেন শ্রেণি শিক্ষক। তারপর সকাল ৯টা ৪০ মিনিট থেকে মূল পাঠদান শুরু হবে। এদিন পঞ্চম শ্রেণির তিনটি বিষয়ের পাঠদান অনুষ্ঠিত হবে।সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কোভিড-১৯ সচেতনতা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ১০ মিনিট অবহিত করার পর পঞ্চম শ্রেণির গণিত বিষয়ের পাঠদান  শুরু হবে ৯টা ৪০ মিনিটে, শেষ হবে ১০টা ২৫ মিনিটে।  পাঁচ মিনিট পর সাড়ে ১০টায় ইংরেজি বিষয়ের পাঠদান শুরু হবে, শেষ হবে ১১টা ১৫ মিনিটে। আবার ৫ মিনিট পর বাংলা বিষয়ের পাঠদান ১১টা ২০ মিনিটে শুরু হয়ে শেষ হবে বেলা ১২টা ৫ মিনিটে।

বৃহস্পতিবার: সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০ মিনিট ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত কোভিড-১৯ সচেতনতা বিষয়ে অবহিত করবেন শ্রেণি শিক্ষক। তারপর সকাল ৯টা ৪০ মিনিট থেকে মূল পাঠদান শুরু হবে। এদিন পঞ্চম শ্রেণির তিনটি বিষয়ের পাঠদান অনুষ্ঠিত হবে।সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কোভিড-১৯ সচেতনতা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ১০ মিনিট অবহিত করার পর পঞ্চম শ্রেণির গণিত বিষয়ের পাঠদান  শুরু হবে ৯টা ৪০ মিনিটে, শেষ হবে ১০টা ২৫ মিনিটে।  পাঁচ মিনিট পর সাড়ে ১০টায় বাংলা বিষয়ের পাঠদান শুরু হবে, শেষ হবে ১১টা ১৫ মিনিটে। আবার ৫ মিনিট পর ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের পাঠদান ১১টা ২০ মিনিটে শুরু হয়ে শেষ হবে বেলা ১২টা ৫ মিনিটে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণি পাঠদান পরিচালনা করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর তুলনায় শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা কম হলে দ্বিতীয় শিফটে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। দ্বিতীয় শিফট একইভাবে দুপুরের পর শুরু করা যাবে।  প্রতিদিন বেলা ১টা ১৫ মিনিট থেকে বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত দ্বিতীয় শিফট পরিচালনা করতে হবে।  সেক্ষেত্রেও শ্রেণি কার্যযক্রম সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টা।  সময় পরিবর্তন করে একই রুটিনে দ্বিতীয় শিফট পরিচালনা করতে হবে।

মনিটরিং টিম গঠনের নির্দেশ: প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারের দেয়া স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা পালন নিশ্চিত করতে ও সঠিকভাবে অনুসরণের জন্য মনিটরিং টিম গঠনের জন্য নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সরকারি বেসরকারি সব স্কুল কলেজকে মনিটরিং টিম গঠনের নির্দেশ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। শিক্ষাঅধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ আদেশে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সে বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাঅধিদপ্তরের অধীন মাঠ পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে অধিদপ্তর থেকে পাঠানো কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুকরণ সংক্রান্ত নির্দেশনা ও কার্যক্রমগুলো যথাযথ ও সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে মেনে চলা এবং তা অনুসরণের জন্য একটি মনিটরিং টিম গঠনের জন্য নির্দেশনা দেয়া হলো।

সর্বশেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩:১৩
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও