কক্সবাজারের টেকনাফের ইয়াবা ডন হিসেবে পরিচিত নুরুল হক ভুট্টোর পরিবারের দুটি বিলাসবহুল বাড়ির সন্ধ্যান পেয়েছে পুলিশ। নুরুল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তিনি আগে ভ্যানচালক ছিলেন।

আদালতের নির্দেশে এসব বাড়ি ও বাড়ির মালামাল জব্দ করা হয়। এখন থেকে এসব বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ করবে পুলিশ।

শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এসব বাড়ির মালামাল জব্দে অভিযান চালানো হয়। দুটি বাড়ির মূল্য ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার বেশি বলে জানান পুলিশ।

জব্দ করা এসব বাড়ির মালিক হলেন, টেকনাফ সদরের নাজিরপাড়ার এজাহার মিয়া, তার দুই ছেলে নুরুল হক ভুট্টো ও নূর মোহাম্মদ ওরফে মংগ্রী। এদের মধ্যে নুরুল হক ভুট্টো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারির তালিকায় রয়েছেন। তবে দুই মাস আগে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন ভুট্টোর ভাই নূর মোহাম্মদ ওরফে মংগ্রী।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল টেকনাফের নাজিরপাড়া এলাকায় অবস্থিত ভুট্টোর পরিবারের দুটি বিলাসবহুল বাড়িতে অভিযান চালায়। ইয়াবার টাকায় এসব বাড়ি বানানো হয়েছে। অভিযানের সময় বাড়ি দুটির মালামালসহ সব কিছু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। এ সময় বাড়িতে থাকা লোকজনকে বের করে দেয়া হয়।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, আদালতের নির্দেশে শনিবার সকালে তিন ইয়াবা কারবারির বিলাসবহুল দুটি বাড়িসহ সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। বাড়িগুলো এখন পুলিশের হেফাজতে থাকবে। আদালতের নির্দেশে পরবর্তীতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। যাদের বাড়ি ও মালামাল জব্দ করা হয়েছে তারা এক সময় ভ্যানচালক ছিলেন। বর্তমানে তারা কোটি টাকার মালিক। ইয়াবার টাকায় রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন তারা। গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।

ওসি বলেন, কক্সবাজার সীমান্তে অনেক লবণ চাষি, দিনমজুর, রিকশা ও ভ্যানচালক ইয়াবা বেচাকেনা করে টেকনাফে রাজকীয় বাড়ি বানিয়েছেন। সারাদেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় তালিকাভুক্ত এসব ইয়াবা ব্যবসায়ীরা।