আফগানিস্তানে গতকাল বৃহস্পতিবার দুটি আত্মঘাতী হামলায় কাবুল বিমানবন্দর কেঁপে ওঠে। হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে।
এখন পর্যন্ত ১৩ মার্কিন সেনাসহ অন্তত ১০৩ জনের মৃত্যুর সংবাদ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
হামলার ভয়াবহতা কেমন ছিল তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে হামলার ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়েছে, যিনি একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার সাবেক কর্মী। তিনিও কাবুল বিমানবন্দরে এসেছিলেন, তার হাতে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অভিবাসন ভিসা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানান, বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটের কাছে লাইনে তিনি প্রায় ১০ ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিলেন। তখন (স্থানীয় সময়) বিকাল ৫টা ছিল। হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে বিমানবন্দর।
‘মনে হলো আমার পায়ের নিচে থেকে কেউ মাটি সরিয়ে নিয়েছে। হঠাৎ মনে হলো কানের পর্দা ফেটে গেছে। আমি কিছুই শুনতে পারছিলাম না।’
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময় প্লাস্টিকের ব্যাগ যেমন করে বাতাসে উড়ে যায় তেমন করে মানুষের শরীর ও হাত-পা উড়ে যেতে দেখলাম।
‘এ জীবনে কেয়ামত দেখা হবে না। কিন্তু আজ নিজের চোখে যা দেখলাম তা যেন কেয়ামতের মতোই’, যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, হতাহতদের দেহ রাস্তায় ও পাশের নালায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখেছি। নালায় সামান্য পানি রক্তে ভরে উঠেছিল।
তবে তিনি শারীরিকভাবে ঠিক আছেন বলে জানিয়েছেন। তবে যে ভয়াবহতা চোখের সামনে দেখেছেন তাতে তিনি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন কিনা সংশয়ে রয়েছেন।
সর্বশেষ আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২১, ১৬:০৭
পাঠকের মন্তব্য