করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার বিস্তার রোধে চলমান লকডাউনের মেয়াদ সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত বাড়িয়েছে সিডনির কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার এক ঘোষণায় তারা শহরটির কিছু এলাকায় সোমবার থেকে রাত্রিকালীন কারফিউ জারিরও ঘোষণা দিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এ সিদ্ধান্তের ফলে সিডনিতে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি এমন ১২টি এলাকায় রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত চলাফেরায় সর্বোচ্চ বিধিনিষেধ থাকবে। রাত্রিকালীন এ কারফিউর আওতায় পড়বেন ৫০ লাখ জনসংখ্যার শহরটির প্রায় ৪০ শতাংশ। কেউ এসব এলাকায় ঢুকতে গিয়ে ধরা পড়লে তাকে জরিমানা করা হবে ও বাধ্যতামূলক ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে।
মেলবোর্নে এখনই এ ধরনের কারফিউ আছে। সিডনির কিছু এলাকা যুক্ত হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশের বেশিকে সোমবার থেকে রাতে ঘরে বন্দি থাকতে হবে। কেবল জরুরি সেবার কর্মীরাই এই বিধিনিষেধ থেকে ছাড় পাবেন।
শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) একদিনে নতুন ৬৪৪ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে। এর মধ্যে সিডনিতেই সবচেয়ে বেশি রোগী মিলেছে।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় এ শহরে ৮ সপ্তাহ ধরে লকডাউন চললেও গত ৭ দিনে এনএসডব্লিউ-তে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সবসময়ই ৪০০-র উপরে ছিল বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
টানা কয়েক সপ্তাহের বিধিনিষেধও সিডনির এ প্রাদুর্ভাবকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি, উল্টো তা অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহর ও নিউ জিল্যান্ডেও ছড়িয়ে পড়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত নতুন ৫৫ রোগী শনাক্ত হয়েছে; এখানেও সংক্রমণ হু হু করে বেড়ে যেতে পারে বলে কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে।
ক্যানবেরায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে; সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়ার এ রাজধানীও এখন লকডাউনের আওতায়।
টিকা দিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর পরিকল্পনা থাকলেও দেশটি এখন পর্যন্ত ১৬ বছর বা তার বেশি বয়সীদের মাত্র ২৮ শতাংশকে টিকার সব ডোজ দিতে পেরেছে।
সর্বশেষ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২১, ১৭:১৪
পাঠকের মন্তব্য