সোলেমান মিয়ার কথায় মজিদ, ইমনের উপর হামলা চালায়। বিচার চাইতে চাইতে ক্লান্ত অসহায় মা (ভিডিও সহ)

বিশেষ প্রতিবেদক ,মৌলভীবাজার।

সোলেমান মিয়ার বাড়িতে কাজ করত মজিদ মিয়া। আর ইমন কাজ করতো কিবরিয়ার বাড়িতে। সোলেমান আর কিবরিয়া সর্ম্পকে তারা আপন মামা ভাগনে।

বলছিলাম মৌলভীবাজার জেলা সদরের ৬নং একাটুনা ইউনিয়নের উত্তরমুলাইম গ্রামের সে দিনের ঘটনা।তারিখ টা ছিলো ২২/০৬/২০২১ রাত ৮ ঘটিকায় সোলেমান মিয়ার বাড়ির পুকুর পাড়ে সোলেমান মিয়ার কাজের ছেলে মজিদ কিবরিয়া আহমদ এর কাজের ছেলে ইমন কে দারালো অস্ত্র দিয়ে তার উপর হামলা করে, এক পর্যায় দারালো চাকু দিয়ে ইমনের গলা কেটে  পুকুর ঘাটে পেলে যায় মজিদ।সেখান থেকে ইমন তার মালিক কিবরিয়ার বাড়িতে কোন মতে যায়।

কিবরিয়া ইমন কে নিয়ে সিলেট হাসপাতালে গেলে সেখানে তাকে চিকিৎসা দিয়ে তার মায়ের বাড়ি রাজনগর উপজেলার আশ্রাকাপন গ্রামে দিয়ে আসে। সেই থেকে এখন পর্যন্ত ইমনের আর কোন খোঁজ খবর নেয় নি তারা।

এঘটনায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় কিবরিয়া আহমদ ইমন কে নিয়ে মজিদ মিয়ার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেন ।

আহত ইমন বলেন আমি প্রথমে কাজ করতাম সোলেমান মিয়ার বাড়িতে সেখান থেকে কাজ ছেড়ে সোলেমান মিয়ার ভাগনা কিবরিয়ার বাড়িতে কাজ নেই তাদের বাড়ি পাশা পাশি। কিবরিয়ার বাড়িতে কাজ নেয়ার পর থেকে আমাকে সোলেমান মিয়া প্রতি দিন মারধরের হুমকি দেয়। একবার আমার বাড়ি থেকে আমার মায়ের সামন থেকে আমাকে টেনে হেছরে রাস্তায় মারধর করে সোলেমান মিয়া ও তার ছেলে পরে মটরসাইকেলে আমাকে তুলে নিয়ে যায় সোলেমানের বাড়িতে।

এই ঘটনার আরো কিছু দিন পর সোলেমান মিয়ার বাড়ির রাস্তার উপর আমাকে মারধর করে আমার বুকের উপর সোলেমান মিয়া দাড়িয়ে থাকে। আমার চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ এসে আমাকে উদ্যোর করে। এসব ঘটনা আমি কিবরিয়াকে জানালে সে তার কোন প্রতিবাদ করেনি সুদু আমাকে বলে সোলেমান আমার মামা আমি কি ভাবে প্রতিবাদ করবো।

২২/০৬/২০২১ তারিখে সকালে সোলেমান মিয়া আমাকে হুমকি দিয়ে বলে আজকে মজিদ কে দিয়ে তোকে মারব। রাতে ৮টার দিকে মজিদ আমাকে সোলেমান মিয়ার পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে মজিদ আমাকে বলে সোলেমান মিয়ার বাড়িতে আবার কাজে আসার জন্য,আমি তখন মজিদকে বলি আমি এখানে কাজ করবো না। সাথে সাথে মজিদ আমার গলায় ছুরি দিয়ে টান দেয় তখন সোলেমান মিয়ার স্ত্রী বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়ানো আমি চিৎকার করে বলছিলাম মামি আমাকে বাচান তিনি আমার দিকে চেয়ে আছেন ,আমাকে বাচাতে আসেন নি।

এক পর্যায় মজিদ আমাকে মারধর করে আমাকে উলঙ্গ করে পুকুর পারে ফেলে রাখে এবং মজিদ আমার নাকের কাজে তার হাত দিয়ে দেখে আমার শাস চলছে কি না। মজিদ চলে যাবার পর আমি কিবরিয়ার বাড়িতে যাই সেখান থেকে কিবরিয়া আমাকে হাসপাতাল নিয়ে যায়।

মৌলভীবাজার মডেল থানায় আমাকে নিয়ে কিবরিয়া একটি অভিযোগ দেন আমি কিবরিয়াকে বলেছি আমাকে সোলেমান মিয়ার কথায় মজিদে মারধর করেছে। কিবরিয়া আমাকে বলে সোলেমান আমার মামা তাকে বাদ দিয়ে শুধু মজিদের উপর অভিযোগ দেই। আমি তখন খুবিই  অসহায় ছিলাম । এখন আমি খুব সমস্যায় আছি একদিকে আমার কোন বিচার পেলাম না অপর দিকে সোলেমান সোলেমানের ভাই আমার বাড়িতে এসে হুমকি দেয় মামলা না করার জন্য।

ইমনের মা বলেন আমার ছেলেকে সোলেমান মিয়ার পালিত ডাকাত মজিদকে দিয়ে মারধর করে তার গলা কাটায় । মায়মুরবীর দোয়াতে আমার ছেলে মৃত্যুর পথ থেকে বেছে আসে।আমি আমার ছেলের বিচার চাই,আমাকে সোলেমান মিযার স্ত্রী মোবাইল করে বলে ছেলে যেনো ঘরের বাহির না হয়,তার অনেক দুশমন আছে।আমার দুশমন তো সোলেমান মিয়ার পরিবার। সোলেমান মিয়ার স্ত্রী সামনে আমার ছেলের গলা কেটে ফেলে তখন তিনি কিছু বলেননি ,এখন ফোনে বলছেন ইমনের অনেক দুশমন আছে।

ইমনের বোন বলেন আমার ভাইয়ে এখন চিকিৎসার প্রয়োজন কিবরিয়া সিলেট হাসপাতার  থেকে একদিনের বিতর আমার ভাইকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে রেখে যায়। চিকিৎসার কোন খরছ তারা কেউ দিচ্ছেনা। ইমনের গলা ফুলে যায়,গলার বাহিরের সিলাই কাটা হয়েছে বিতরের সিলাই রয়েছে। আমরা গরীব মানুষ বলে তারা সব সময় আমাদের হুমকি দামকি দেয়। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।

সোলেমান মিয়ার সাথে মোঠফোনে যোগাযোগ করলে উনার ফোন বন্ধ দেখায়,কিন্তু কিবরিয়া আহমদ এর সাথে মোঠফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ইমন কে নিয়ে তিনি সিলেট হাসপাতালে নিয়ে যান সেখানে ইমনের চিকিৎসা হয়। করোনা ভাইরাসের কারনে ইমন কে হাসপাতালে রাখা যায়নি তাই তার বাড়িতে তার মার কাছে দেয়া হয়। এবং আমরা চিকিৎসার খরচ দিচ্ছি।

মৌলভীবাজার মডেল থানার এস অই কাঞ্ঝন বলেন এই ঘটনার অভিযোগে আমরা তদন্ত করার জন্য ইমন যে বাড়িতে থাকে বিকরিয়া আহমদ এর বাড়িতে যাই,কিবরিয়া বলেন এই টা আমাদের বাড়ির বিষয় আমাদের দুই কাছের ছেলে মারা মারি করেছে আমরা এটা আপশে শেষ করে দিবো। আমার কাছে এখন পর্যন্ত আপশের কোন কিছু আসে নাই।

তবে আমি বলবো এই টা আপশের বিষয়না একটা ছেলের গলা কেটে ফেলেছে। দোষীদের আইনের আওতায় আনা উচিৎ।

সর্বশেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২১, ১৩:২০
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও