মৌলভীবাজার জেলায় জ্বরের প্রাদুর্ভাব আরও বেড়েছে। উপজেলা ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় প্রতিটি ঘরেই জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত এমন মানুষ পাওয়া যাচ্ছে। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি। জ্বরের রোগী আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় এলাকায় করোনাভীতি ছড়িয়ে পড়ছে।
সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা রোগীর সংখ্যাও। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মৌলভীবাজার করোনা শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়া করোনা শনাক্তের ভয়ে অনেকেই ডাক্তারের কাছে না গিয়ে বাড়িতেই গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জেলার মধ্যে রাজনগর উপজেলার প্রতিটি ঘরে ঘরে পরিবারের ৪/৫ জন সদস্য জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজনগর উপজেলার চেয়ারম্যান শাহাজাহান খাঁন বলেন
রাজনগর উপজেলার গ্রামে গ্রামে করোনার উপসর্গ নিয়ে মানুষ চলাফেরা করছেন। এরকম অনেক খবর পাওয়া যাচ্ছে। আমি তাদের অনুরোধ করছি যাদের জ্বর, কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা, শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তারা ফোনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে। বাড়ী এবং বাসা থেকে বের হবেন না বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া। করোনার এই ভয়াবহ পরিস্তিতিতে সরকারের বিধি নিষেধ অবশ্যই মেনে চলার জন্য পরামর্শ দিচ্ছ। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং অন্যকে সচেতন করতে হবে। আমাদের আল্লাহ উপর ভরসা রেখে ৪ টা নিয়ম মেনে চলতে পারলে আমাদের পরিবার, সমাজ এবং দেশকে করোনার মহামারি থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ। ৪ টি নিয়ম হলো জরুরী কাজ ছাড়া বাহিরে যাওয়া যাবে না, জরুরি প্রয়োজন এ বাহিরে গেলে মাস্ক পড়তে হবে, ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করুন,ঘনঘন সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া।
আসুন আমরা আপনারা নিজে সতর্ক হই অন্যকে সতর্ক হতে সাহায্য করি। নতুবা আমরা এক ভয়াবহ পরিস্তিতির সম্মুখীন হতে পারি।
তবে জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের করোনা হয়েছে এমনটা ভাবা যাবে না। যদি জ্বর, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ও মুখে স্বাদ এবং নাকে ঘ্রাণ না পায় তাহলে করোনার নমুনা দিতে হবে।
পাঠকের মন্তব্য