‘অভিযান কেয়ামত পর্যন্ত চলা উচিত’

সিলেট প্রতিনিধি :

সাত দিনের লকডাউনের চতুর্থ দিনে সিলেট নগরীর বিভিন্ন সড়কে আগের দুই দিনের তুলনায় লোকজনের চলাফেরা কিছুটা বেড়েছে। তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। কঠোর বিধিনিষেধ নিশ্চিত করতে পরিচালিত হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অহেতুক ঘোরাফেরা ও অনিয়ম ধরা পড়লে জরিমানা, মামলা, সাজা, যানবাহন জব্দ করা হচ্ছে। পাশাপাশি সিটি মেয়রের নেতৃত্বেও অভিযান হচ্ছে প্রতিদিন। মেয়র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ অভিযান কেয়ামত পর্যন্ত চলা উচিত।

সড়কে সড়কে চলছে সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসচেতনতামূলক  মাইকিং। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী রোববার নগরীতে অভিযানের সময় ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, এই অভিযান কিয়ামত পর্যন্ত চলা উচিত।

এত কিছুর পরও বেপরোয়া অনেকেই। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই রাস্তাঘাটে বেপরোয়া চলাফেরা করছেন।

র‌্যাব-৯ সিলেটের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু মুসা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, সিলেট বিভাগে র‌্যাবের ২০টি টিম কাজ করছে। মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান চলছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবিও তৎপর রয়েছে। সিলেট মহানগরীসহ ১৩টি উপজেলায় ৩৩টি মোবাইল টিম অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানে সিলেট মহানগর পুলিশ ২১৮ টি যানবাহন জব্দ ও ১১৯টি মামলা দায়ের করে।

অপরদিকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের কয়েকটি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। অভিযানকারী টিম দেখে অনেক ব্যবসায়ী দোকান খোলা রেখেই পালিয়ে যান। এসময় ৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।

উপজেলার ভবেরবাজার, মিরপুর, নয়াবন্দর বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে এই অভিযান চলে। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জগন্নাথপুর পদ্মাসন সিংহ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপম দাশের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম এ অভিযান চালান।

সর্বশেষ আপডেট: ৫ জুলাই ২০২১, ০০:১১
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও