করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। পণ্য পরিবহন ও রিকশা চলাচলের অনুমতি রয়েছে সরকারিভাবে। সোমবার থেকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুরু হয়েছে সীমিত পরিসরের লকডাউন। সকাল থেকেই সাভারের মহাসড়কে চলেনি যাত্রীবাহী যান। ফলে গণপরিবহনের দাবিতে সকালেই বিক্ষোভ করেছেন সাভারের বিভিন্ন কারখানার পোশাক শ্রমিকরা। তবে রাত হলেই ভিন্ন চিত্র। সাভারের বাইপাইল থেকে ছেড়ে যাচ্ছে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন।
সাভারে দিনে চলে না কোনো যাত্রীবাহী পরিবহন। ফলে অনেক দুর্ভোগ নিয়ে কর্মস্থলে উপস্থিত হয়েছেন কর্মজীবীরা। তবে উত্তরবঙ্গের গাইবান্ধা যাওয়ার জন্য সৈকত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস কন্ট্রাক্টে এনেছেন মনু মিয়া। তিনি আশুলিয়ার বাইপাইল বাস স্ট্যান্ডের সৈকত পরিবহনের কাউন্টার মালিক মনু মিয়া।
সোমবার (২৮ জুন) রাত ১১টার দিকে সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, মা জরিনা সৈকত পরিবহনে প্রতি সিটের বিপরীতে ৭০০ টাকা নিয়ে যাত্রী ওঠাচ্ছে কাউন্টার মালিক মনু মিয়া। কয়েকজন টিকিট কিনে গাইবান্ধা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসে উঠে বসেছেন।
যাত্রীদের মধ্যে একজন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রায় ৬ মাস আগে চাকরি হারিয়েছি। অনেক কারখানায় চাকরি খুঁজেছি, এখনও খুঁজছি। তবে চাকরি আর হয়নি। কিছু দিন ফুটপাতে তরকারি বিক্রি করেছি। এখন যদি লকডাউন কিংবা শাটডাউন হয় তাহলে ফুটপাতে তরকারি বিক্রি করা যাবে না। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছি।
বাসের চালককে না পাওয়া গেলেও বাসের হেলপার রাসেল বলেন, আমাদের এই বাস কন্ট্রাক্টে নিয়েছেন কাউন্টার মালিক মনু মিয়া। প্রতি সিটে তিনি ৭০০ টাকা করে নিচ্ছেন। তবে কোনো টিকেট দেওয়া হচ্ছে না। কত টাকার বিনিময়ে কন্ট্রাক্ট নিয়েছে তা গাড়ির মালিকে জানেন। আমাদের দায়িত্ব শুধু যাত্রীদের পৌঁছে দেওয়া। আমাদের টাকা পেলেই হলো।
সড়কে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট থাকার পরও কীভাবে তারা গাইবান্ধা পৌঁছাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজ দুপুরেও ৪০ জন যাত্রী নিয়ে বাইপাইল থেকে একটি বাস ছেড়েছে। তারা পৌঁছে গেছে। প্রতি পয়েন্টে কিছু দিলেই ছেড়ে দেয়। তবে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। শুধু একটু সময়ের ঘাটতি হয়।
এ ব্যাপারে কাউন্টার মালিক মনু মিয়ার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বরং তিনি যাত্রী ওঠাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
সর্বশেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২১, ১৩:৪৭
পাঠকের মন্তব্য