সিলেটে ছয় বছর আগে শিশু আবু সাঈদকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের আবেদন (ডেথ রেফারেন্স) গ্রহণ এবং আসামিদের আপিল খারিজ করে বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রায় দেন। দণ্ডিতরা হলেন বরখাস্ত পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব এবং পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা।
হাইকোর্টে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। পুতুলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাকিবের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা এবং আতাউর রহমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. সিদ্দিকুর রহমান।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ বলেন, ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ করে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তাদের আপিল খারিজ করা হয়েছে। আবু সাঈদ সিলেট নগরীর রায়নগর শাহ মীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার বাবার নাম আব্দুল মতিন।
২০১৫ সালের ১১ মার্চ আবু সাঈদকে অপহরণের পর তার পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। এরপর ১৪ মার্চ রাতে নগরীর ঝর্ণার পাড় সোনাতলা এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে সাঈদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরদিন সাঈদের বাবা আব্দুল মতিন কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ওই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর সিলেটের বিমানবন্দর থানার সাবেক কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, ওলামা লীগের নেতা রাকিব, পুলিশের সোর্স গেদা এবং ওলামা লীগ নেতা মাহিব হোসেন মাসুমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
বিচার শেষে ওই বছর ৩০ নভেম্বর মাসুমকে খালাস দিয়ে বাকি তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ। পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। আসামিরাও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। শুনানির পর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দিলেন উচ্চ আদালত।
সর্বশেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২১, ১৪:০৫
পাঠকের মন্তব্য