মাদক ব্যবসায়ী নিপ্পন আহমদ বাংলাদেশ আওয়ামী বঙ্গবন্ধু লীগ মৌলভীবাজার জেলা শাখার সদস্য সচিব।

বিশেষ প্রতিবেদক মৌলভীবাজার :

গাজা ব্যাবসায়ী থেকে  ফেনসিডিল বিক্রেতা,ইয়াবা টেবলেট বিক্রি করে, জেলা বিএনপি, জেলা ছাত্রদল, যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল মিটিংএ রাখতো জোরালো ভুমিকা, বলছি মৌলভীবাজার শহরের ১নং ওয়ার্ডের ইয়াবা ব্যবসায়ী নিপ্পন আহমদ এর কথা।

বাবা গোলাপ আহমদ মৃত্যুর পর  মা কে নিয়ে  ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাশিনাথ রোড বর্তমান শাহাবাগ এলাকার দিঘির কোনে  মামুর বাড়িতে থাকত। দুই নম্বরী ব্যাবসা করায় মামুর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলে  মৌলভীবাজার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের  সৈয়াপুর এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে ভাড়া বাসায় থাকে।

---কয়েক বার পুলিশের কাছে ফেনসিডিল সহ হাতেনাতে ধরা পড়ে ।  বেশ কিছু দিন জেলে থাকার পর জাবিনে বেড়িয়ে এসে একটি মেয়েকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বিয়ে করে । বিয়ের  কিছু দিন পর মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় নিপ্পনের গাড়ি কার আটক করে পুলিশ,গাড়ি তলাশি করে বিপুল পরিমান ইয়াবা টেবলেট পায়।  পুলিশ নিপ্পন কে আটক করে নিয়ে যায়।

এবার জেল থেকে ছাড়া পেয়ে চলে যায় কাতারে,নিপ্পনের বন্ধুদের কাজ থেকে পাওয়া সূত্র অনুয়ায়ী নিপ্পন কাতারে  চানাছুর ও আচারের প্যাকেটের মধ্যে ইয়াবা বিক্রি করত। কাতারে দীর্ঘ দিন ব্যবসা করার পর যখন সে বুঝতে পারলো সে ধরা পরে যাবে  তখন নিপ্পন দেশে চলে আসে।

দেশে আসার পর তার পুরোনো বন্ধুদের  নিয়ে গড়ে তুলে ইয়াবা ব্যাবসা তবে এবার এখটু বিন্নভাবে আগে ব্যবসা করতো স্বেচ্ছাসেবক দলের নাম লাগীয়ে এখন করছে আওয়ামীলীগের নাম বিক্রি করে।

এদিকে  গত ২২, ০৫.২০২১ তারিখে বাংলাদেশ আওয়ামী বঙ্গবন্ধু লীগ  কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক মো এমদাদ হোসেন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত  ৯০ দিনের একটি ৩১ সদস্যের আহবায়ক  কমিটি দেন, নিপ্পন আহমদ কে সদস্য সচিব  ও মো: নুরুল ইসলাম কে আহবায়ক করে।

মৌলভীবাজার যে কমিটি দিয়েছে সেই  কমিটিতে  বেশির ভাগ সদস্য ছাত্রদল, বিএনপি,স্বেচ্ছাসেবক দলের। বাংলাদেশ আওয়ামী বঙ্গবন্ধু লীগ এর কমিটি নিয়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতা কর্মীদের মধ্যে  খোবদেখা দেয় ।

---নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে  ঢাকা থেকে যারা কমিটি দিয়েছে তাদের খোঁজ নেয়া উচিৎ ছিলো কাদের কে কমিটি দিচ্ছে। তারা কোন দলের মানুষ, সদস্য সচিব যাকে দিয়েছে নিপ্পন আহমদ সে মাদক সেবি ও ব্যবসায়ী, আহবায়ক  যাকে দিয়েছে সে  দাধন  ও মাদক ব্যবসায়ী।

টাকার বিনিময় এসব কমিটি দিচ্ছে।  এখন থেকে এর ব্যবস্থা না নিলে একদিন এই মাদক ব্যবসায়ীরা দলের অনেক বড় বড় নেতা হবে আর আসল নেতারা কবল গায়ে দিয়ে সুয়ে থাকবে,তখন নাকে আর সরিষার তৈল দিতে হবে না।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মাহবুব আলম  প্রতিবেদক কে জানান বাংলাদেশ আওয়ামী বঙ্গবন্ধু লীগের যে কমিটি ৯০ দিনের জন্য দিয়েছে সেই কমিটির বেশির ভাগ সদস্য বিএনপির  বিভিন্ন অংঘ সংগঠনের।  আমি বলতে চাই  বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে কোন বিতর্কিত কমিটি মৌলভীবাজার জেলা শহরে দেয়া টিক নয়।

কমিটির বিষয়ে জানতে চেয়ে সদস্য সচিব নিপ্পন  আহমদের সাথে একাদিক বার ফোন করলে ফোন বন্ধ দেখা যায়।

আগামী তে আসছে আহবায়ক কে এই মোঃ নুরুল ইসলাম। তার খুটির জোর কোথায়? কি ভাবে ধাদন ও মাদক ব্যবসা করে রাতারাতি মৌলভীবাজার শহরের বুকে এক খন্ড ভুমির মালিক হয়।

সর্বশেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২১, ১৩:০৭
মুক্তিবাণী

পাঠকের মন্তব্য

ফেসবুকে

সর্বশেষ আপডেট

ভিডিও