সুনামগঞ্জের শাল্লায় নোয়াগাও গ্রামে হিন্দু বাড়িতে হামলার ঘটনায় প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম স্বাধীন (স্বাধীন মেম্বার) জামিন পেয়েছেন। সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার তার জামিন মঞ্জুর করেন।
সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান সেলিম ও কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সেলিম নেওয়াজ স্বাধীন মেম্বারের জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সেলিম নেওয়াজ বলেন, এই মামলায় পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করার আগ পর্যন্ত তিনি জামিনে থাকবেন।
শহীদুল ইসলাম স্বাধীন দিরাই থানার নাচনী গ্রামের বাসিন্দা ও সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি উক্ত ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি; যদিও গ্রেফতারের পর যুবলীগের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়।
প্রসঙ্গত, হেফাজত নেতা মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত ১৭ মার্চ শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে বুধবার সকালে হামলা চালিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮টি বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর করা হয়।
জানা যায়, নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামের এক তরুণের ফেসবুক আইডি থেকে হেফাজত ইসলামের মামনুল হকের সমালোচনা করে স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা ও ভাংচুরা চালানো হয়।
শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দুদের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার পর হামলাকারীদের ‘মদদদাতা’ হিসেবে স্বাধীন মেম্বারের নাম আসে। হামলার পরদিন স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়ের করা মামলাতেও স্বাধীনকে আসামি করা হয়।
গত ২০ মার্চ দিবাগত রাত ৩টার দিকে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থেকে দিরাই উপজেলার নাচনী গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য ও সরমঙ্গল ইউনিয়ন যুবলীগের ওয়ার্ড সভাপতি শহীদুল ইসলাম স্বাধীনকে গ্রেফতার করে পিবিআই সিলেট।
পরে তাকে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর গত ২৩ মার্চ গ্রেফতার শহীদুল ইসলাম স্বাধীনকে (স্বাধীন মেম্বার) ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
সর্বশেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২১, ২০:৩৭
পাঠকের মন্তব্য