দেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট সিলেটের রাতারগুল ভূমিকম্পের নতুন উৎপত্তিস্থলে পরিণত হয়েছে। শনিবার সিলেটে অনুভূত চার দফা ভূমিকম্পের অন্যতম একটির উৎপত্তিস্থল ছিল রাতারগুল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট উপজেলায় ভারি বৃষ্টিপাত ও বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে দুদিনে কয়েক দফা ভূমিকম্পন অনুভূত হওয়ায় বহুতল ভবনের বাসিন্দারা আতঙ্কে শহর ছেড়ে যাচ্ছেন। গত তিনদিনে শতাধিক পরিবার বাসা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্দেশনা মতে নগরীর ছয়টি ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট সোমবার থেকে বন্ধ রয়েছে। নগরীর পনিটুলা এলাকায় হেলে পড়া ভবনের বাসিন্দাদের ১০ দিনের জন্য অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সিলেটে পাঁচদফা ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার প্রেক্ষিতে রোববার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এখন আর সিলেটের সীমান্তবর্তী ডাউকিতে সীমাবদ্ধ নয়।
অবস্থান পরিবর্তন করে বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পের সংযোগস্থল তৈরি হচ্ছে। এমনি একটি স্থান এখন রাতারগুল। শনিবার অনুভূত চারটি ভূমিকম্পের একটির উৎপত্তিস্থল ছিল রাতারগুল। তিনি আরও জানান, আগামী সপ্তাহে জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট উপজেলায় ভারি বৃষ্টিপাত ও বন্যা হতে পারে। সিলেটের জেলা প্রশাসক ও কমিটির সভাপতি এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ভূমিকম্প ও বন্যা পরবর্তী করণীয় ব্যাপারে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় বক্তব্য দেন সিলেট সেনানিবাসের লে. কর্নেল জাহিদ, সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল, বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক আব্দুল্লাহ মো. তারিক, পরিবেশ অধিদপ্তর সি?লে?টের পরিচালক ইমরান হোসেন, সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ, সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আলম, সিলেট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন, সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব, সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু, সিলেট ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান, কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, আনিস রহমান প্রমুখ।
সর্বশেষ আপডেট: ১ জুন ২০২১, ১৪:২৩
পাঠকের মন্তব্য