যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সীমান্ত এলাকায় লকডাউন দিয়ে দেওয়া উচিত যাতে সংক্রমণ সারা দেশে ছড়িয়ে না পড়ে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, করোনা যে দেশে বাড়ছে সে দেশের অর্থনীতি কিন্তু সাংঘাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা চাই না আমাদের ইকোনমি ক্ষতিগ্রস্ত হোক। আমাদের উন্নয়ন অব্যাহত আছে। করোনা কন্ট্রোলে আছে বিধায় সম্ভব হচ্ছে।
সোমবার (৩১ মে) সচিবালেয় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
সীমান্ত এলাকায় বিশেষ লকডাউন হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আস্তে আস্তে সবগুলো জেলায়ই দেওয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে আলাপ করে সময়টা জানবো। আমাদের পরামর্শ থাকবে যে কয়টি জেলায় কোভিডের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী সেগুলোতে লকডাউন দিয়ে দেওয়া। দেরি করলে বাড়ার সম্ভাবনা আাছে, সংকট তৈরির সম্ভাবনা আছে। ওনাদের কমিটি আছে, তারা একটি প্ল্যান-প্রোগ্রাম দেবে।
তিনি বলেন, রাজশাহী জোনে ফলমূল হয়, এখন আম-লিচুর সিজন। সেখানে তিন-চার কোটি টাকার বেচাবিক্রি হয়। সেখানে স্ট্রিক লকডাউন দিলে চাষিরা, ব্যবসায়ীরা সাংঘাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটি তারা মাথায় রেখে কাজ করছেন।
রাশিয়াকে ভ্যাকসিন উৎপাদনের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রাশিয়ার ভ্যাকসিন জিটুজি পদ্ধতিতে আসবে। উৎপাদনের প্রস্তাবও আমরা দিয়েছি। সেই বিষয়টি একটু সময় নেবে। এখানে ভ্যাকসিন উৎপাদন করার যে ফ্যাক্টরি লাগে তা স্থাপন করতে হবে। এখানে যেগুলো আছে সেগুলো দিয়ে চলবে কিনা রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা দেখে যদি সংযোজন করতে হয় এরপর কাজে নেবে। ওই সময় পর্যন্ত বসে থাকলে চলবে না। এরমধ্যে আমরা ভ্যাকসিন নিয়ে নেবো।
তিনি বলেন, আমাদের উৎপাদনের প্রক্রিয়াটা চলমান থাকবে। রাশিয়ার সঙ্গে নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট হয়েছে, এগ্রিমেন্টে সই হলে কেনার বিষয়টি বাস্তবায়িত হবে।
সর্বশেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২১, ১৫:২৮
পাঠকের মন্তব্য