বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট এলাকায় গতকাল শনিবার সকাল থেকে অন্তত পাঁচবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যার উৎপত্তিস্থল সিলেটের জৈন্তায় বলে জানা গেছে। সর্বশেষ দুপুর ২টায় আরেক দফা ভূমিকম্প হয়। এখানে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১।
এ সময় নগরীর বাসা-বাড়ির বাসিন্দারা অনেকটা আতংকিত হয়ে নিরাপদ স্থানে নেমে আসেন। অনেককেই কর্মস্থল থেকে বের হয়ে খোলা স্থান ও সড়কে চলে আসতে দেখা যায়।
শনিবার সকাল সকাল ১০টা ৩২ মিনিট, ১০টা ৪৭, ১১টা ৩০ মিনিট ও ১১টা ৩৪ মিনিট এবং সর্বশেষ দুপুর ২টায় কেঁপে ওঠে সিলেট। এদিকে দফায় দফায় এমন কম্পনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। আবহাওয়াবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত বড় কোন ভূমিকম্পের আগে বা পরে এমন দফায় দফায় মৃদু কম্পন হতে পারে।
ঢাকা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মুমিনুল ইসলাম বলছেন, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পাঁচবার কম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে চারটির মধ্যে রিখটার স্কেলে কম্পনের সর্বোচ্চ মাত্রা ৪ দশমিক ১। এছাড়া ৪, ৩ ও ২ দশমিক ৮ মাত্রাও রয়েছে। এদিকে কোন কোনটি এতো মৃদু যে সব স্টেশনে মাত্রা মাপাও যায়নি।
মুমিনুল ইসলাম বলেছেন, সিলেটে এমন আর কখনো হয়নি যদিও সিলেট অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরেই ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে। বিশেষ করে তিনটি প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশে। সিলেটের জৈন্তায় আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। তবে সবগুলোই ছোটো ধরণের ভূমিকম্প।
তিনি আরও বলেন, ভূমিকম্পের প্রিশক ও আফটারশক থাকে। অনেক সময় বড় ভূমিকম্পের আগে ছোট কম্পন হয়। আবার বড় ভূমিকম্প হলে তারপর ছোট ছোট কম্পন হয়। যেহেতু সিলেট অঞ্চল ভূমিকম্প প্রবণ সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। তাছাড়া ওই অঞ্চলে বড় ভূমিকম্পের ইতিহাস আছে।
সর্বশেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২১, ০০:৩৭
পাঠকের মন্তব্য