মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের বাবুর বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে অনিয়ম
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের বাবুর বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের কাজে অনিয়ম হওয়ায় ফুসে উঠেছেন স্থানীয়রা। জানা যায়, রাজনগর উপজেলা এলজিইডি’র অর্থায়নে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের কাজের টেন্ডার করা হয়। কাজটি পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আকবর আলী। সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজ করাচ্ছেন রাজনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ময়নুল ইসলাম খান।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সীমানা প্রাচীর নির্মাণে লিন্ডার ও পিলারে ১৫ থেকে ১৮ ইঞ্চি দূরত্বে বাঁধা হচ্ছে রিং। এছাড়া নির্মাণ কাজে ব্যবহার হচ্ছে নিন্ম মানের ইটের কংকিট ও বালু। এদিকে পিলার ও লিন্ডারে ব্যবহার করা হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত বালু।
এ সময় স্থানীয় নানু মিয়া, সাদিক মিয়া ও শহিদ মিয়া সহ অনেকের সাথে কথা বলে তারা বলেন, আমরা কোনো জায়গায় দেখিনি লিন্ডার ও পিলারে ১৫ ইঞ্চি দূর দূর রিং বাঁধতে। কর্মরত মিস্ত্রিদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমরা ওয়ার্কওয়াটার অনুযায়ী কাজ করছি। ইঞ্জিণিয়ার এসেও নিয়মীত পরিদর্শন করছেন। কাজে কোনো ত্রুটি হলে উনি বলতেন। নিন্মমানে কংক্রিট ও বালু ব্যবহার হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন প্রথম দিখে কিছুটা নিন্মমানের কংক্রিট ছিল।
স্থানীয় মিস্ত্রি শহীদ মিয়া ও জুনেদ বলেন এই রকম কাজ আমরা কোথাও দেখিনি। এ যাবত আমরাও অনেক সরকারি কাজ করতে গিয়ে লিন্ডার ও পিলারে ৬ ইঞ্চি দূরত্বে রিং বেঁধেছি। ১৫ ইঞ্চি দূরত্বে রিং বাঁধায় বিদ্যালয়ের কাজে ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।
এবিষয়ে সাব-ঠিকাদার রাজনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ময়নুল ইসলাম খান বলেন, স্থানীয়রা কাজ এবং ড্রয়িং কিছুই বুঝে না। ড্রয়িংয়ের বাহিরে কোনো কাজ হচ্ছে না।
বাবুর বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) অনিমেষ দেব বলেন, ঈদের আগে সভাপতি ফোন করে আমাকে অনিয়মের কথা বলেছেন। গতকালও এ বিষয়ে সভাপতির সাথে কথা হয়েছে। দ্রুত এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব।
রাজনগর উপজেলা এলজিইডির নির্বাহি প্রকৌশলী মহিউদ্দিন বলেন, প্রাচীর নির্মাণ কাজে কোন অনিয়ম হলে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সর্বশেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২১, ২৩:২৫
পাঠকের মন্তব্য